জয়পুর (Jaipur), বোলপুর (Bolpur), দুর্গাপুর (Durgapur), শ্রীরামপুর, কানপুর, মেদিনীপুর, জব্বলপুর, সোনাপুর, সন্তোষপুর, গোরক্ষপুর, মোমিনপুর,, সম্বল্পুর, শান্তিপুর, হস্তিনাপুর…ভাবছেন তো হঠাৎ করে আজ এই ‘পুর’ ‘পুর’ নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে?
ভারতবর্ষের (India) বিভিন্ন শহর হোক বা গ্রাম, একটা জিনিস খুবই সাধারণ বা কমন, ‘পুর’ শব্দটি বহুবার ব্যবহৃত হয়। সবকিছুর পিছনে যেমন একটি ব্যাখ্যা বা ইতিহাস থাকে, ঠিক তেমনই এই ‘পুর’ ব্যপারটির মধ্যেও রয়েছে এক অন্তর্নিহিত রহস্য।
আর সেই ইতিহাস, রহস্য যাই বলুন না কেন, ‘পুর’ সম্পর্কে জানতে নিশ্চয়ই আপনারও খুব ইচ্ছা করছে? তাহলে চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনটিতে। কারণ রয়েছে এক চমক, যা হয়তো আপনি কখনও ভাবতে পারেননি।
ভারতের যে জায়গাগুলি “পুর”, “পুরা”, “পুরম” ইত্যাদি দিয়ে শেষ হয়, সাধারণত ইঙ্গিত দেয় যে সেখানে প্রাচীন বা ঐতিহাসিক বসতি রয়েছে বা ছিল। এই পদগুলি সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত। “পুর” বা “পুরা” শব্দটি সাধারণত একটি শহর বা দুর্গকে বোঝায়, যখন “পুরম” প্রায়শই একটি সুরক্ষিত বা পবিত্র ঘের নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। সংক্ষেপে, এই পদগুলি ভারতের কোনও স্থানের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
অনেকেই হয়তো জানেন যে প্রাচীনকালে অনেক রাজা ও সম্রাট তাদের নামের শেষে পুর শব্দটি যোগ করে তাদের শহরের নামকরণ করেছিলেন। যেমন জয়পুর। এই বিশেষ শহরটি রাজা জয় সিং নির্মাণ করেছিলেন। তার নামের সাথে ‘পুর’ যোগ করে শহরের নাম করেন জয়পুর। ঠিক একইভাবে অন্যান্য শহর বা গ্রামের নামেও পুর শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
প্রাচীনযুগে রাজা ও সম্রাটরা তাদের রাজ্যের রাজধানী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে তাদের নামের সাথে ‘পুর’ শব্দটি দিয়ে সম্বোধন করতেন।