নতুন করে যেন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে ভারত (India)। কারণ কেন জানেন? কারণ অবশ্যই হল ভারতের মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র ISRO। প্রথমে চাঁদ, তারপর সূর্য, একের পর এক মিশনে সাফল্য বয়ে এনেছে ভারতের ঝুলিতে। এরই মাঝে ইসরোর হাত ধরে আরও এক নয়া স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন আপামর ভারতবাসী। আর সেই স্বপ্নের নাম হল মিশন গগনযান (Gaganyaan)।
আর মিশন গগনযান কেন এত আলোচনার মধ্যে রয়েছে জানেন? কারণ এই যানের মধ্যে এবার মানুষকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন আপনি। আর তারই এক বড় রকমের প্রস্তুতি সেরে নিল ইসরো বলে খবর। আজ শনিবার ২১ অক্টোবর সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল কাউন্টডাউন। এদিন সকাল ১০টায় মিশন গগনযানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করে ইসরো। তবে পূর্ব নির্ধারিত লঞ্চটি পাঁচ সেকেন্ড আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় এই পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হয়। উৎক্ষেপণের পর ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S. Somanath) বলেন, ‘টিভি-ডি১-এর সফল সাফল্যের কথা ঘোষণা করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।“
গগনযান মিশনে ৯০ বিলিয়ন টাকা ব্যয় করা হবে। একটি মহাকাশযানে করে তিনজন মানুষকে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এই ইসরো। মনে করা হচ্ছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এটি করার চিন্তাভাবনা নিচ্ছে ইসরো। ইসরোর লক্ষ্য গগনযানে নভোচারীদের ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রেরণ করা। ইসরো জানিয়েছে, এই মিশন শুরু হওয়ার তিন দিন পর নভোচারীদের আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।
গগনযান মিশনের TV-D1 ফ্লাইটে রয়েছে ‘ক্রু মডিউল’ এবং ‘ক্রু এসকেপ মডিউল’। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সমুদ্রে নেমে পড়ল প্যারাসুট সমেত ক্রু মডিউল। ৩ মহাকাশচারী নিয়ে ক্রু মডিউল যাতে সমুদ্রেও নেমে পড়তে পারে, তারই মহড়া হল। কিন্তু এই সমস্ত মহড়ার আগে ইসরো বিভিন্ন স্তরে নিশ্চিত করতে চায় যে এই মিশনে কোনও ঘাটতি নেই, তাই তারা পরীক্ষামূলক উড়ান চালাচ্ছে। ইসরোকে দেখাতে হয়েছিল যে মানুষকে বহনকারী ক্যাপসুলটি নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে কিনা। আর সেটারই আজ এক পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি হল।