খরচ হবে আরও কম, বিদ্যুৎ বিলে আমূল পরিবর্তন আনছে WBSEDCL! খুশির হাওয়া পশ্চিমবঙ্গে

এবার রাজ্যের (West Bengal) বিদ্যুত বিল সংক্রান্ত বিয়মে বিরাট বদল আসতে চলেছে। এই নিয়মের প্রভাব পড়বে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের ওপর। আসলে এতদিন WBSEDCL এর আওতায় ৩ মাস অন্তর বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হতো ক্রেতাদের। কিন্তু সেই নিয়মের অবসান করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদ।
রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, নিয়মের পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন তারা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা, তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। নয়া নিয়মে বলল হচ্ছে যে, তিনমাস নয় এবার থেকে প্রতি মাসেই আসবে বিদ্যুৎ বিল।
কলকাতার কিছু জায়গাতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত নিয়ম। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১১১, ১১২ এবং ১১৪ নাম্বার ওয়ার্ড রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের আওতায়। প্রথমত সেই স্থানেই মাসিক বিল পাঠাবে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবেও এই জায়গাকে বেছে নিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা।
কলকাতা বিদ্যুৎ পর্ষদে CESC এর তরফে এখন প্রতি মাসেই ইলেকট্রিক বিল পাঠানো হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের আওতায় থাকা এলাকাগুলিতে এতদিন তিন মাস পর পর বিদ্যুৎ বিল আসত। এবার সেই নিয়মে হেরফের করে মাসিক বিলের নিয়ম আনতে চাইছে সরকার।
তবে গ্রাহকদের কাছে অপশন থাকে যে তারা প্রতি মাসে বিল দেবেন নাকি তিনমাস ছাড়া বিল পে করবেন। বিদ্যুৎ দপ্তর অবশ্য চাইছে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল নিতে। তাই CESC এর মত WBSEDCL ও এবার প্রতি মাসেই ইলেক্ট্রিক বিল পাঠাবে। যদিও এখনই সারা রাজ্যজুড়ে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না পর্ষদ। আপাতত তারা কলকাতার ১১১, ১১২, ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই পরিষেবা শুরু করবে।
প্রসঙ্গত এদিন সম্মেলনের সময় বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে স্থানীয় বিধায়কদের সহযোগীতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন যে, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের আবেদন করতে বলেছেন। এছাড়া যারা সময় মতো বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন না তাদেরও সচেতন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই সুবিধা চালু হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিলে কম খরচ হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।