পশ্চিমবঙ্গে আলুর হাহাকার? ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ‘হলুদ সবজি”! দেখুন কোথায় কত দাম

দেশের মধ্যে আলু উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বরাবরই রেকর্ড বানিয়েছে। গোটা ভারতে (India) দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে বাংলা। বিগত কয়েকদিনে আলুর দাম বাড়ার কারণে ভালো দাম পাওয়ার আশা করেন কৃষকরা, কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ তারা আলুর ভাল দাম পাচ্ছেন না। আলু চাষীরা জানাচ্ছেন, দাম কম থাকার কারণে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে চাষীদের।
এদিকে সরকার কুইন্টাল প্রতি ৬৫০ টাকা দরে আলু কেনার ঘোষণা করে। কিন্তু দেখা গেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি বস্তায় আলু বিক্রি হচ্ছে। কিছু জায়গায় আবার ৪৫০ টাকা প্রতি বস্তা হিসেবেও দাম রয়েছে আলুর। এবার আলুর কম ফলন হওয়ায় দাম বেশি পাওয়ার আশা করেন চাষিরা। তবে মনোমত দাম পাচ্ছেন না তারা।
এখন জ্যোতি আলুর দাম বাড়ার ফলে আগামী কয়েকদিন চাহিদা বাড়বে বলেই খবর। এমনকি দাম ৫০০ টাকা প্রতি বস্তা হতে পারে বলেও খবর এসেছে। যদিও এই বিষয়ে চাষীরা জানান যে, আলুর দাম অন্তত ১২০০ টাকা হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবেন তারা।
যদিও এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জানা যাবে রাজ্যের কোথায় কেমন দাম থাকবে। আজকে কোথায় কত দাম থাকছে তা নীচে জানানো হলো। (দাম ৫০ কেজি বস্তা হিসেবে)।
আলিপুরদুয়ার: ৩০০ টাকা
দিনহাটা (কোচবিহার): ২৮০ টাকা
কোচবিহার: ৩২৫ টাকা
জলপাইগুড়ি: ৩১০ টাকা
মাথাভাঙা: ৩২০ টাকা
ধূপগুড়ি (জলপাইগুড়ি): ৩৫৫ টাকা
আমলাগোরা (মেদিনীপুর): ৪০০ টাকা
বদনগঞ্জ: ৪০০ টাকা
বেলিয়াতোড়: ৪০০ টাকা
বাঁকাদহ: ৪০০ টাকা
চমকাইতলা: ৪০০ টাকা
চাতরা: ৪০০ টাকা
চন্দ্রকোনা রোড: ৪০০ টাকা
চন্দ্রকোনা টাউন: ৪০০ টাকা
গড়বেতা: ৪০০ টাকা
জোরকা: ৪০০ টাকা
জয়পুর: ৪০০ টাকা
কোতুলপুর: ৪০০ টাকা
কুমরুল: ৪১০ টাকা
কামারপুকুর: ৪০০ টাকা
কারালাঘাট (পূর্ব বর্ধমান): ৪৫০ টাকা
মসাগ্রাম: ৪৫০ টাকা
ডাকবাংলো: ৩৮০ টাকা
জামালপুর: ৪৫০ টাকা
ময়নাপুর: ৩৬০ টাকা
সোনামুখি: ৩৭৫ টাকা
অম্বিকা কালনা: ৪১৫ টাকা
উদয় নারায়ণপুর: ৪৪০ টাকা
কলকাতা: ৪৩০ টাকা
পাণ্ডুয়া: ৪০০ টাকা
বর্ধমান: ৪১৫ টাকা
মেমারি: ৪১৫ টাকা
তারকেশ্বর: ৪০০ টাকা
উপরোক্ত দাম সাম্প্রতিক পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে জানানো হয়েছে। যদিও জায়গা এবং আলুর কোয়ালিটির ভিন্নতার কারণে দাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।