দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে লক্ষীপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিকে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। ইতিমধ্যে কাউন্টডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ সামনেই আসছে কালীপুজো ও দীপাবলি এছাড়া রয়েছে ভাইফোঁটা ও ধনতেরাস। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই রাজ্যে আবহাওয়া বদলের বড় রকম টের পেয়েছিলেন রাজ্যের মানুষজন সকাল হোক বা রাত বেশির শিরশিরানী ঠান্ডা অনুভুতি হচ্ছিল সকলেরই।
তবে হঠাৎ করেই যেন ঘটলো ছন্দপত। কর্পূরের মতন উবে গেল শীত। সকলের একটাই প্রশ্ন কোথায় গেল সেই ঠান্ডা অনুভূতি? যদিও দিনের বেলা যথেষ্ট অস্বস্তিকর গরম পরিবেশ বজায় থাকলেও রাতের দিকে বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া বজায় থাকে তবে সকালবেলা হতে না হতেই যে কে সেই অবস্থা বাইরে বেরোতে গেলে গলদঘর্ম অবস্থা হয়ে যাচ্ছে শহরবাসী থেকে শুরু করে রাজ্যবাসীর। এদিকে নভেম্বর মাসেও রাজ্যে বৃষ্টির ভ্রূকুটি শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস শুনে বেজায় মন খারাপ রাজ্যবাসীর। গতকাল থেকেই ধীরে ধীরে আবহাওয়া আবার বদল করতে শুরু করেছে
আজ বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যের একের পর এক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে উত্তর (North Bengal) থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) জেলায় জেলায় হবে বৃষ্টিপাত। আজ শহর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কিছুটা প্রভাব রয়েছে বাংলায়। একপ্রকার শীতের রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে । তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের দুই এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে । ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ।
যদিও অন্যদিকে আবহাওয়া বিজ্ঞানী সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন করে আবহাওয়ার বদল ঘটবে। রাজ্যে নতুন করে ঢুকতে শুরু করবে উত্তরে হাওয়া।