শীত বাংলার একদম দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে। আকাশ-বাতাস জানান দিচ্ছে যেন যে শীত বাংলায় আসন্ন। যদিও বর্তমান সময়ে শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যাইহোক, আবহাওয়াবিদরা আশাবাদী যে শীঘ্রই বাংলার আকাশ থেকে এই দুর্যোগের কালো মেঘ সরে যাবে আর শীতের আগমন ঘটবে।
এদিকে এই শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গেই যেন সকলের পায়ে একপ্রকার সর্ষে ফুল গজিয়ে ওঠে। সকলেই একটু ঘুরতে যাওয়ার আনন্দে মেতে উঠতে চান। কেউ কেউ আছেন যারা শীতকাল এলেই দল বেঁধে পিকনিক করতে যাওয়ার জন্য উদ্যত হন, আবার অনেকেই আছেন যারা শীতকালে একটু ভালো কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য উদ্যত হন। এই দুটি বিষয়ের ক্ষেত্রেই একটি জিনিস কমন রয়েছে, সেটা কী বলুন তো?
সেটা হল একটি ভালো ডেস্টিনেশন। হই, হুল্লোড় আনন্দ করতে যাওয়ার আগে সকলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই ডেস্টিনেশন। আপনিও কি এই শীতকালে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে কিছু দূরে অবস্থিত গেঁওখালি (Geonkhali) থেকে। এই জায়গাটি কলকাতা থেকে ১১৫ কিমি দূরে অবস্থিত।
তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল হল এই গেঁওখালি। একদিক থেকে রূপনারায়ণ, অন্য দিক থেকে হলদী এবং অপর দিক থেকে হুগলি নদী এসে মিলিত হয়েছে এই জায়গায়। এখানে এলে আপনি প্রকৃতির মধ্যে ডুবে যেতে চাইবেন। এখানে জাওয়াও সহজ। হাওড়া-হলদিয়া লোকালে চেপে সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনে নেমে টোটো, অটো বা বাসে করে যাওয়া যায় গেঁওখালিতে। এখানে থাকার জন্য বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের গেস্ট হাউস রয়েছে। গেস্ট হাউসের নাম ত্রিবেণী সঙ্গম। ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা প্রতিদিন।
এই জায়গাটিতে পৌঁছাতে হলে আপনাকে মোটেই মাইলের পর মাইল রাস্তা অতিক্রম করতে হবে না। কলকাতা থেকে এই জায়গাটি মাত্র কয়েক কিমি দূরেই অবস্থিত। খুব সহজেই আপনি এই জায়গাটিতে পৌঁছে যেতে পারবেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে গেঁওখালিতে কীভাবে পৌঁছাবেন? তাহলে আপ্ন এই জায়গাটি কলকাতা থেকে হলদিয়া (Haldia) যাওয়ার পথেই পেয়ে যাবেন। এখানে আপনি দুইভাবে যেতে পারবেন, এক হল ট্রেন অন্যটি হল লঞ্চে করে। লঞ্চে করে আপনি যদি গেঁওখালি যেতে চান তাহলে আপনাকে গাদিয়ারা থেকে লঞ্চ ধরতে হবে।