ধর্ষণের চেষ্টা করাই হল কাল, ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে থানায় গেলেন নির্যাতিতা! তারপর যা হল …

এক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে গেল দেশে। এই ঘটনা দেখে একপ্রকার পুলিশের চোখও কপালে উঠে গিয়েছে। দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার পরেও ধর্ষণের (Rape) ঘটনা যেন থামার নামই নিচ্ছে না। তবে এক যুবতীর দুঃসাহসিক কাণ্ড দেখে সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে রীতিমতো। এক যুবতী একজন যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে নিয়ে সটান হাজির হলেন থানায়। এখন আপনিও নিশ্চিয়ই ভাবছেন যে ঐ যুবতী কেন এমন করলেন ? গোটা বিষয়টিই বা কী? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি।

   

উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) কৌশাম্বি জেলায় (Kaushambi district) এক যুবতীর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল এক ব্যক্তি। এক যুবতী নিজেরই বাড়ির পরিচারকের বিরুদ্ধে বাড়িতে জোর করে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে ওই যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ এবং অভিযুক্ত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।

ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছে যে তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। এদিকে ঘটনার দিন যুবতী বাড়িতে একাই ছিলেন। আর সেই সুযোগ নিয়েই অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে এবং যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে কোনওরকমে ওই যুবতী রান্নাঘরে লুকিয়ে পড়েন। এরপর ওই যুবতী সুযোগ বুঝে যুবকের পুরুষাঙ্গ ছুরির এক কোপে কেটে ফেলেন। আর সেটি নিয়ে সটান থানায় হাজির হন।

up rape 2

এদিকে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের চোখ কপালে উঠে যায় এহেন দৃশ্য দেখে। এরপর পুলিশ ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে দেখে যে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অভিযুক্ত। রক্তে ভেজে গিয়েছে চাদর। অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ইতিমধ্যে। এই ঘটনায় মঞ্জনপুর পুলিশের পদক্ষেপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আত্মরক্ষার্থে অভিযুক্ত যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে তাকে হেফাজতে নেওয়া মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ ও ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।