‘আম্পায়ারের বদান্যতায় বিরাট কোহলি …’, ভারতের সঙ্গে ম্যাচে হেরে বড়সড় অজুহাত বাংলাদেশের

পুনের এমসিএ মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৭তম ম্যাচে বাংলাদেশকে (Bangladesh) ৭ উইকেটে হারিয়ে আবারও এক নম্বর স্থান অর্জন করেছে ভারত (India)। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) অপরাজিত সেঞ্চুরির (১০৩) ভিত্তিতে ৪১.৩ ওভারে ২৬১ রান করে জয় অর্জন করে ভারতীয় দল। বিরাট কোহলির ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে দল জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত কেরিয়ারে আরও একটি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট। বিরাটের সেঞ্চুরিতে আলোচনায় উঠে এসেছেন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড কেটলব্রো।

   

বিরাট কোহলি তখন ব্যাট করছিলেন ৯৭ রানে। জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার দরকার ছিল ২ রান এবং সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে বিরাটের দরকার ছিল ৩ রান। বিরাটের সামনে ছিলেন বাংলাদেশি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৪২তম ওভারের প্রথম বলটি নাসুম লেগ স্টাম্পের বাইরে ফেলেছিলেন। তারপরেও আম্পায়ার রিচার্ড ওয়াইডের নির্দেশ দেননি। এর পরের বলে কোনো রান ওঠেনি। বিরাট কোহলি ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং দলকে জয়ও এনে দেন। ৪২তম ওভারের প্রথম বল ওয়াইড দিতে আম্পায়ারের অস্বীকৃতি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমসিসির ওয়াইড বল রুল ২২.১.২ অনুযায়ী, কোনও বল ব্যাটসম্যানের নাগালের বাইরে থাকলে তাকে ওয়াইড ঘোষণা করা হবে। ব্যাটসম্যান যদি স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় শট মারতে পারেন, তাহলে সেই বলকে ওয়াইড বলা হবে না। আইসিসির ক্রিকেটীয় নিয়মের ২২.১.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এটি বিচার করা আম্পায়ারের কাজ। বিরাট কোহলি ব্যাট করছিলেন লেগ স্টাম্প ঘেঁষে।

kohli bangladesh 2

বোলার যখন বল করেছিলেন তখন তিনি অফ স্টাম্পের দিকে এগিয়ে যান এবং বলটি উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে চলে যায়। আম্পায়ার এটাকে ওয়াইড বলেননি। বলকে ওয়াইড না বলার পর তার প্রতিক্রিয়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ভাইরাল হচ্ছে। বোলার ফিরে যাওয়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল আম্পায়ারের মুখ। স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল থুতনিতে হাত দিয়ে তাঁর মুচকি হাসি।