হয়ে যান সাবধান! ২৫৭ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে এই বছরের সবথেকে বিপজ্জনক টাইফুন

মানবসভ্যতার সামনে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হাজির হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন এর রূপে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল ভুগছে সারা পৃথিবী। বিশ্বের তাপমাত্রা দিন দিন যত বাড়ছে সারা পৃথিবী ততই বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। আবহাওয়া যেকোনো সময় বদলে যাচ্ছে। এতদিন ধরে খরা এবং তীব্র তাপ প্রবাহে বিপর্যস্ত জাপান ও চীনের দিকে ধেয়ে আসছে আরেকটি বিরাট সমস্যা। এবার দ্বীপরাষ্ট্র জাপান এবং চীনের দিকে ধেয়ে আসছে মারাত্মক শক্তিশালী ঝড়।
২০২২ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ের প্রভাবে উদ্বেগ বেড়েছে দুই দেশের। পূর্ব চীন সাগরে তৈরি হওয়া এই ঝড় মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে দুই দেশেরই। মার্কিন যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মতে, সুপার টাইফুন ‘হিমানর’ বর্তমানে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৬০ মাইল (২৫৭ কিমি) বেগে এগিয়ে আসছে দুই দেশের দিকে।
জানা যাচ্ছে ঝড়টি ১৯৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়তে পারে ভূখণ্ডে। আর সেই কারণে সুনামির আশঙ্কাকেও বাদ দেওয়া যাচ্ছেনা। ৫০ ফুট বা ১৫ মিটার উঁচু সুনামি এসে আছড়ে পড়তে পারে ভূখণ্ডে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তার মতে, এখনও পর্যন্ত এই ঝড়ের যা রেকর্ড তাতে ২০২২ সালের সবচেয়ে ভয়াবহ ও শক্তিশালী ঝড় হতে চলেছে এটি।
হংকং এর এক অবজারভেটরি জানিয়েছে যে ঝড়টি সকাল ১০ টায় জাপানের ওকিনাওয়া থেকে ২৩০ কিমি পূর্বে ঘনীভূত হয়। এরপর প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২২ কিলোমিটার গতি বাড়িয়ে পশ্চিম থেকে দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত রিউকিউ দ্বীপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে মার্কিং বিশেষজ্ঞদের মতে সুপার টাইফুন আগামী দিনে নিজের কিছুটা শক্তি হারিয়ে ফেলবে।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক আবহওয়া বিশেষজ্ঞ ফিল ক্লটজবাচ জানিয়েছেন তারা সমুদ্রের সমস্ত রেকর্ডগুলিকে বিস্তারিতভাবে সেভ করে রাখেন। গত সাত দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে আগস্ট মাসে মাত্র দুবার হারিকেন তৈরি হয়েছে। প্রথম ঝড়টি আসে ১৯৬১ সালে আর দ্বিতীয়টি ১৯৯৭ সালে, তবে উভয়েরই এই সময়ের ঝড়ের মতো গতি ছিল না।