ব্যবসা বন্ধের তোরজোড়! কাঙাল পাকিস্তানে বিখ্যাত গাড়ি কোম্পানির নোটিশে মাথায় হাত সবার

দুর্ভিক্ষ, কাঙাল পাকিস্তান (Pakistan) কাগজে কলমে দেখিয়েছে যে তাদের দুরাবস্থা শেষ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় ব্যাংক জানাচ্ছে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। যদিও কিভাবে বাড়ছে সেই পরিমাণ তা জানানো হয়নি, ঋণ ভিক্ষা করে নাকি কীভাবে বাড়ছে সেটা জানায়নি পাকিস্তান সরকার। বিশ্বকে দেখানোর জন্য পরিসংখ্যান বাড়িয়ে দেখালেও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ন উল্টো বলছে।

এরইমধ্যে যা রিপোর্ট আসছে তাতে জানা যাচ্ছে, বিরাট সংকটের মুখে পড়তে চলেছে তারা। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হওয়ার মুখে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, সেদেশের গাড়ি নির্মাতা সংস্থা ইন্ডাস মোটর কোম্পানি (IMC) আমদানি রপ্তানিতে অসুবিধা হওয়ার কারণে প্ল্যানটি বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। জানিয়ে রাখি, এই সংস্থাটিই পাকিস্তানে টয়োটা গাড়ি অ্যাসেম্বল করে।

auto industry pakistan 720x340

কোম্পানি জানিয়ে দিয়েছে যে, কারখানা বন্ধ থাকবে আগামী চারদিন। চলতি বছরে দু’বার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে প্ল্যান্ট বন্ধ করার নোটিশ পাঠিয়েছে তারা। ২৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ অবধি উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা আধিকারিক জানান, কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্যাংকগুলি লেটার অফ ক্রেডিট ইস্যু করতে না পারায় এমন অসুবিধা হচ্ছে।

স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া কোম্পানির নোটিশে বলা হয়েছে, প্ল্যাট বন্ধ থাকার ফলে কোম্পানির সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হয়েছে। কোম্পানি ও বিক্রেতারা কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারছে না। এদিকে শেহবাজ শরীফ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচানোর নামে ব্যাংকগুলো এলসি দিচ্ছে না, আর তারফলে সমস্যা হচ্ছে আমদানি রপ্তানিতে।

এর আগেও, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানে প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছিল IMC। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মাত্র এক শিফটে কাজ হচ্ছে সেখানে। অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ পীড়িত পাকিস্তানে অটো সেক্টর বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। আগের তুলনায় ৪০ শতাংশেরও বেশি কমেছে বিক্রি। আগামী ছয় মাস আবার কঠিন থেকে কঠিন সময় আসছে বলেই মনে করছেন তারা

innovation 04 main visual pc

লভ্যাংশ ঠিক রাখতে এবং প্ল্যান্ট চালু রাখতে দাম বাড়িয়েছে তারা। কিন্তু তাতে ফল হয়েছে উল্টো। একেই তো সেখানে টাকা পয়সার খুবই অভাব তারই মধ্যে দাম বাড়ানোয় রীতিমত মাছি তাড়াচ্ছে বিভিন্ন অটো কোম্পানি। এদিকে শাহবাজ শরীফ ভোটের আগে অনেক কৌশল নিচ্ছেন অর্থনীতি ঠিক করতে, যদিও কোনোটাই কাজে আসছেনা। এবং ধীরে ধীরে আরো খারাপ অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।