চারিদিক সুনসান! ঘনাচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ! কী হল দিঘায়? মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

দীঘাতে (Digha) হঠাত করেই যেন ভিড় কিছুটা কমে আসছে। বিশেষ করে গত বছরের শেষ থেকেই ভিড় কিছুটা ফিকে। হোলির দিনে অনেকে আশা করেছিলেন যে, সৈকতনগরী ভরে উঠবে। কিন্তু কোথায় কি! অন্যান্য বারের দোলের দিনের মতো চেনা জনস্রোত এ বার আর আছড়ে পড়েনি দিঘায়। একইছবি তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর-সহ বহু জায়গায়।

এবার দোলের আগে ভিড় আশা করলেও সেই আশা আর পূরণ হলনা। হোটেল ব্যবসায়ীদেরও মাথায় হাত। সবমিলিয়ে মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হোটেলেই উঠেছিলেন পর্যটকেরা। এবছরের মতো মন্দার সিজন কখনো আসেনি বলে মত স্থানীয়দের। আগে সারাবছর ভিড় থাকলেও ধীরে ধীরে সেখানে টান পড়ছে বলেই জানান ব্যবসায়ীরা।digha1

ঘটনা সম্পর্কে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে হোটেলের দর বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে প্রচার করেন পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ।’’ দুর্গাপুজোর পর থেকেই এমন হাল বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত বছর দোল এবং হোলির দিনে দিঘার সমস্ত হোটেল পরিপূর্ণ ছিল। অথচ এ বার পর্যটকদের মধ্যে সেই আগ্রহ দেখা যায়নি। দিঘা থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতি মোটেই কাম্য নয়। দিঘার হোটেল আসা পর্যটকদের যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয় সেই বিষয়ে আমরা আরও বেশি সতর্ক হচ্ছি।’’

1678269982 digha

এদিকে মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের কর্তা দেবদুলাল দাস মহাপাত্রর বক্তব্য, ‘‘মানুষের হাতে সে ভাবে পয়সা নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। সেই সঙ্গে সর্বত্র হোটেল গজিয়ে উঠছে প্রচুর।’’ তবে দীঘায় যেভাবে কালোবাজারি করেছেন হোটেল মালিকরা, সেকথাও তুলে ধরেছেন তিনি।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button