টমেটো ৫০০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০০ টাকা কেজি! ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ভারতের শরণাপন্ন পাকিস্তান

এবার ভয়াবহ বন্যায় ভেসেছে পাকিস্তান (Pakistan)। বিধ্বংসী বন্যায় ভেসে গিয়েছে সেদেশের লাহোর এবং পাকিস্তানে অধিকৃত পাঞ্জাবের বহু অংশ। আর বন্যার প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত দ্রব্যের ওপর। বন্যার প্রাদুর্ভাবে দাম বেড়েছে বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলের। উপায় না থাকায় এবার ভারতের (India) কাছেই হাত পাততে চলেছে তারা।
জানা যাচ্ছে ভারত থেকে টমেটো (Tomato) এবং পেঁয়াজ (Onion) আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান। বর্তমানে ভিক্ষার পাত্র হাতে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চেয়ে বেড়াচ্ছে দেশটি। এদিকে ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে কাশ্মীরের ওপর অত্যন্ত বেশি ঘোরের মধ্যে থেকে ভারতের সাথে সমস্ত প্রকারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক শেষ করে দেয়। কিন্তু এখন উপায় না থাকায় ভিক্ষার পাত্র হতে নিয়ে সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
সমস্ত প্রকার বাণিজ্যিক চুক্তি ভেঙে দিলেও নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধের ওপর কিন্তু কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি তারা। এদিকে নিজের দেশের খারাপ অবস্থার হাল দেখে আবারো ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত করতে পারে বলেই খবর। সংবাদ সুত্রে জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে সেখানে টমেটো এবং পেঁয়াজ এর দাম আকাশ ছোঁয়া।
লাহোর বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘রবিবার, লাহোরের বাজারে প্রতি কেজি টমেটো এবং পেঁয়াজ যথাক্রমে প্রায় ৫০০ এবং ৪০০ টাকায় পাওয়া জাচ্ছিল। যদিও, রবিবারের বাজারে দুটি পণ্যই নিয়মিত বাজারের দামের তুলনায় প্রতি কেজি ১০০ টাকা কম দামে পাওয়া গিয়েছে’। তবে এই তো শুরু, বাজারের অনেকের মতে এই দাম আরও উপরের দিকেই উঠতে থাকবে।
অর্ধেক পাকিস্তান জলের তলায় ডুবে যাওয়াতে চাপ পড়ছে দেশটির বাকি অংশের ওপর। মুদ্রাস্ফীতি এখন চরম সীমায় উঠতে চলেছে। তাই বাজারের অনেকের মতে, আগামী দিনগুলিতে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম ৭০০ টাকা অবধি ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সাথে প্রতি কেজি আলুর দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে একধাক্কায় ১২০ টাকা হয়েছে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও সিন্ধুতে বন্যার ফলে একই সাথে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ একেবারেই কমে গিয়েছে। তাই ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দিতে থাকা দেশটি এখন ভারতেরই মুখাপেক্ষী।
পাকিস্তানের অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে, সাধারণধারন মানুষ তো বটেই, সাথে দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও অপেক্ষা করে রয়েছে কবে পাকিস্তান সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে আর মানুষ এই জ্বালা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে। এদিকে পরিস্থিতি বুঝে ইরানও লাভের অঙ্ক বাড়াতে আমদানি এবং রফতানির উপর অতিরিক্ত কর বসিয়েছে। এখন দেখার কবে পাকিস্তান ভারতকে অনুরোধ করে, আর ভারত সরকার সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ নেয়।
প্রসঙ্গত পাকিস্তানের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১,০৩০ জনের বেশি মানুষ এর। যার মধ্যে সিন্ধুতে ৭৪ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়াতে ৩১ জন, গিলগিট-বালটিস্তানে ছয়জন, বালুচিস্তানে চারজন এবং পঞ্জাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই সংখ্যা একেবারেই কম করে দেখানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে এই সংখ্যা।