মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে তিনটি বড় পদক্ষেপ ভারতের, খুব শীঘ্রই কমবে বহু জিনিসের দাম

সাল ২০১৪ তে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসার পর থেকেই একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্পের সূচনা করে চলেছেন। দেশকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি আরো ৩ টি বড়ো প্রকল্পে হাত দিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এবার সোলার পিভি-র জন্য পিএলআই প্রকল্পের সম্প্রসারণ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি সেমিকন্ডাকটর উৎপাদনের সাথে সেটিকে জাতীয় লজিস্টিক নীতি অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্তগুলির জন্য বেশ কয়েকটি সুবিধা আসবে দেশে। প্রথমত, বাইরে থেকে দ্রব্য আমদানি তো কমবেই উল্টে ভারত রপ্তানির উপর জোর দেবে। যেহেতু ভারত একটি বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ তাই দেশের অভ্যন্তরীন আর্থিক কাঠামোও মজবুত হবে এতে। এর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে যে সব সেমিকন্ডাকটর ব্যবহার করা হয় সেইসব পণ্যের দাম কমবে।
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তিতে সোলার পিভি মডিউলগুলির দ্বিতীয় পিএলআই প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। জানা গেছে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাড়বে সৌর প্যানেল তৈরির কাজও। এমনকি এতে বিদেশের সাথে আদানপ্রদানও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এইদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেমিকন্ডাকটর ও ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেমের উন্নতির জন্য নানান পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রযুক্তি নোড এবং এবং প্যাকেজিং ও অন্যান্য সেমিকন্ডাক্টরের খাতে ৫০ শতাংশ ইন্সেনটিভও দেওয়া হতে চলেছে। অর্থাৎ সোলার প্রোজেক্টে যে সব কোম্পানি কাজ করতে আসবে তারা পেয়ে যাবে এই ইনসেনটিভ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম করে হলেও ২ লক্ষ মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আরো ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ পরোক্ষভাবে কাজ পাবে।
এখানে বলে রাখি, চিনের ‘জিরো করোনা’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই সেমিকন্ডাকটরের আকাল দেখা দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। এমতাবস্থায় বহু ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টের দাম বেড়েছে। এখন আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই প্রকল্পে সফল হয় তাহলে ভারতের জন্য সত্যিই তা বিরাট লাভ নিয়ে আসবে।
এছাড়া এইদিন মন্ত্রীসভায় জাতীয় লজিস্টিক্স বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই বিল উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, এই বিলের মূল লক্ষ হলো লজিস্টিক খরচ কমানো। দেশের জীডিপির ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ নির্ভর করে লজিস্টিকের উপর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার ধারণা, এই বিলের মাধ্যমেই আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে লজিস্টিক ইন্ডেক্স-এ শীর্ষ ২৫ দেশের মধ্যে থাকবে ভারত।