স্বামী বিবেকানন্দর সঙ্গে যুক্ত, NASA-র কাছে আজও রহস্য ভারতের এই মন্দির, আজও চলছে গবেষণা

বর্তমানে বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে। জাগতিক সমস্ত ঘটনাই আমরা আজ বিজ্ঞানের বানানো লেন্সের মাধ্যমে খুঁজতে থাকি। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা বিজ্ঞানেরও বোঝা অসাধ্য! কিছু অতি প্রাকৃতিক বিষয়ের উত্তর দেওয়া বিজ্ঞানের অসাধ্য! আর ভারতবর্ষ (India) এমন এক স্থান, যেখানে দর্শনশাস্ত্র এবং বিজ্ঞানের মহাসঙ্গম হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দুঃসাধ্য।
প্রাচীনকাল থেকেই আর্য্যাবর্ত্য ভারতভূমিতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা বোঝা বিজ্ঞানের পরিধিরি বাইরে। যদিও এইসব অতিপ্রাকৃত ঘটনা বিভিন্ন গবেষকদের কৌতূহলী এবং অনুসন্ধিৎসা মনকে জাগিয়ে তোলে। আর তেমনই এক স্থান উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলাস্থিত কাসার দেবীর মন্দির।
এই স্থান সম্পর্কে আগ্রহী খোদ নাসা (Nasa)! ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা শক্তিপীঠের একটি অংশ রয়েছে এই উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায়। খুবই রহস্যময় সেই স্থান। মন্দিরের চারপাশে রয়েছে সীমাহীন শক্তির অনুভূতি। মন্দিরটি যেখানে অবস্থিত সেখানকার দৃশ্য খুবই মনোরম। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই স্থান টুরিস্টদের কাছে এক আকর্ষণের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসলে এই অঞ্চলটি ওয়ান অ্যালেন বেল্টের মধ্যে আসে, যেখানে পৃথিবীর বিশাল চৌম্বকীয় দেহর অবস্থান বোঝা যায়। এরকম আরো দুইটি স্থান রয়েছে সারা পৃথিবীতে, পেরুর মাচু-পিচু এবং ইংল্যান্ডের স্টোন হেং। বিগত ২ বছর ধরে দীর্ঘসময় এই দেশে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, ১৮৯০ সালে স্বামী বিবেকানন্দ এখানে কয়েক মাস কাটিয়েছিলেন। বর্তমানে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসেন। বহু ঋষি-মুনিও আসেন সেখানে। এখানে প্রস্তর যুগের অনেক নিদর্শনও পাওয়া যায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই যে, সেখানে কাসার দেবীর মন্দিরের চারিপাশে ভূ-চৌম্বকীয় শক্তি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়। যদিও এই মন্দিরের চারিপাশে কেন এমন হয় তার আসল কারণ জানা যায়নি এখনো!