কলকাতার একদম কাছে, হাজার হাজার বছর ধরে জ্বলছে মহাভারত যুগের প্রদীপ! জানুন কোথায়

বীরভূম (Birbhum) … এটি এমন একটি জেলা বছরের পর বছর ধরে একের পর এক ইতিহাস বহন করে চলেছে। আজ এই প্রতিবেদনে এমন এক মন্দিরকে নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটি সম্পর্কে হয়তো খুব মানুষই জানেন। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরটি মহাভারতের সঙ্গে জড়িত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আপনি। প্রথমেই আসা যাক বীরভূমের কোটাসুরে (Kotasur)। বীরভূমের ময়ুরেশ্বর থানার একচক্র পুরে একটি খুবই জাগ্রত মন্দির রয়েছে। আর এই মন্দিরের নাম হল মদনেশ্বর শিব মন্দিরে।

   

এই মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে শুনলে বা জানলে আপনিও নিজের কানকে একপ্রকার বিশ্বাস করতে পারবেন না। কেউ কেউ বলে এখানে রাজা কোটেশ্বরের রাজধানী ছিল। তাঁর ছেলে মদনের নাম অনুসারে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয় বলে খবর। বলা হয়, অজ্ঞাতবাসের সময়ে পঞ্চপাণ্ডব ও তাঁদের মা কুন্তি এখানে এসেছিলেন। কথিত আছে, এখানেই নাকি মহাবীর ভীম বকরাক্ষস বকাসুরকে বধ করেছিলেন। এও বলা হয়, যখন পঞ্চ পাণ্ডব অজ্ঞাতবাসে ছিলেন তখন মাতা কুন্তি এই মন্দিরে তিনি পূজো দিতে আসতেন। আর এখানেই রয়েছে বিখ্যাত মাতা কুন্তির প্রদীপ। একটি প্রদীপ আকারে বিরাট বড় পাথর স্বরূপ রাখা হয়েছে।

এটাকেই বলা হয় মহাভারতের যুগের প্রদীপ। আর এই প্রদীপ কে দেখলে আপনার চোখ এক প্রকার ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে। প্রতিবছর দীপাবলীর সন্ধ্যায় এখানে প্রদীপটি জ্বালানো হয় । জানা যায়, কোটাসুর গ্রামের বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় দীপাবলীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় প্রদীপটি। কয়েক লিটার তেল লাগে এটি জ্বালাতে।

স্থানীয়দের মতে, মহাভারতের সঙ্গে বীরভূমের যোগসূত্র রয়েছে এমনটা অনেকেই দাবি করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রদীপ ওই জায়গাতেই রয়েছে। তবে কত বছর পুরনো এই প্রদীপ সে বিষয়ে কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। স্থানীয় মানুষজন দাবি করেন এর আগেও দু-একবার দীপাবলীর সন্ধ্যায় এই প্রদীপটি জ্বালানো হয়েছে। তবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এটি মন্দিরে জ্বালানো সম্ভব হয় না, কারণ এটির আকার বিশালাকায়।