স্বামীকে ভিখারি থেকে রাজা বানিয়ে দেন এই স্ত্রীরা, এদের বিয়ে করে বদলে যায় ভাগ্য! চাণক্য নীতি

বিশ্বের সেরা কয়েকজন দার্শনিকদের নাম করতে গেলে অনেকেরই নাম আসবে, কিন্তু যদি একজন ব্যক্তির মধ্যেই সেরা দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদের বৈশিষ্ট্য দেখতে হয় তাহলে তিনি অর্থশাস্ত্রের লেখক চাণক্যই (Chanakya)। তার লেখা অর্থশাস্ত্রর দ্বারা তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতির তাবৎ হালচালই বদলে দিয়েছেন। একাধারে তিনি ছিলেন মহান রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং কৌশলবিদ। তার বলা কথার দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হতো মৌর্য বংশ। তার সেসময়ের বলা কথা আজও চিরসত্য হিসেবেই পরিগণিত হয়।
তিনি শুধু জীবনের সকল বিষয়কে অধ্যয়নই করেননি, তিনি মানুষের ভুল ভ্রান্তি কে কিভাবে ঠিক করা যাবে তার উপায়ও বলে দিয়েছেন। তার লেখা নীতি মেনে চলতে পারলে যেকোনো ব্যাক্তিই সাফল্যের চরম শিখরে উঠতে পারেন। এমতাবস্থায়, বাংলায় একটি বাগধারার প্রচলন রয়েছে যে, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পিছনেই একজন নারীর অবদান থাকে। অর্থাৎ একজন নারীই পারেন তার স্বামীর জীবনের যাবতীয় উন্নতি ঘটাতে।
শুধু স্বামীর উন্নতিই নয়, পরিবারের সুখও তার ওপরেই নির্ভর করে। আচার্য্য চাণক্য প্রণিত এইসব গুণ যেসমস্ত নারীদের মধ্যে থাকবে তাদের গুণের ফলেই উন্নতি ঘটবে পরিবার এবং স্বামীর। স্ত্রীর এই সমস্ত গুণাবলীই সৌভাগ্যবান করে তোলে তাদের স্বামীদের। তো চলুন জেনে নিই আচার্য্য চাণক্য কি বলেছেন এই সম্পর্কে।
১) যে নারীর ইচ্ছা খুবই সীমিত: আচার্য্য চানক্য তার নীতি শাস্ত্রে লিখেছেন, যেসমস্ত নারীর ইচ্ছা সীমিত তাদের স্বামীরা পরম সৌভাগ্যবান। এছাড়া চাণক্য এও লিখছেন যে, অনেক সময়ই এমন হয়েছে যে স্বামীরা তাদের স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের জন্য অনেক অনৈতিক কাজ করতে উদ্যত হন। কিন্তু নারীর ইচ্ছা সীমিত হলে তিনি অল্পতেই খুশি থাকবেন, ফলে তিনি তার সঙ্গী অর্থাৎ তার স্বামীদেরও খুশি রাখবেন।
২) শান্ত স্বভাবের মহিলা: আচার্য চাণক্যের কথায়, যেসমস্ত মহিলারা শান্ত স্বভাবের হন তাঁদেরকে দেবী লক্ষ্মীর রূপ হিসেবে মনে করা হয়। একজন পুরুষ শান্ত স্বভাবের নারীর সঙ্গ লাভ করলে তাকে অত্যন্ত ভাগ্যবান বলে ধরা হয়। এছাড়া শান্ত মহিলারা তাদের নিজেদের স্বভাবের জন্যই পরিবারের মধ্যে সুখ শান্তি নিয়ে আসেন। এবং তাদের সিদ্ধান্তের ওপরই পরিবারের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়, তাই তারা যে পরিবারেরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবেন এই নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকেনা।
৩) মিতভাষী : মিতভাষী মহিলারা চাণক্যের চোখে খুবই গুণসম্পন্না। তার মতে এইরকম একজন স্ত্রী থাকলে তার চেয়ে ভাগ্যবান পুরুষ আর কেও নেই। মিতভাষী হওয়ার কারনে তাদের স্বামীরা তো বটেই এই সমস্ত মহিলাদের আশেপাশে থাকা পাড়া প্রতিবেশীদের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় থাকে।
৪) শিক্ষিতা এবং গুণী: শিক্ষিতা এবং সংস্কৃতি মনষ্ক মহিলাদের আলাদা কদর রয়েছে চাণক্যর কাছে। আচার্য্যর মতে একজন শিক্ষিত পুরুষ নিজেকে শিক্ষিত করে তোলে এবং দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারে, কিন্তু শিক্ষিতা নারী জাতি গঠন করে। নারী শিক্ষিতা হলে পুরো পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি বাড়ে। তাই এই ধরনের মহিলারা শুধু ভালো সঙ্গীই হননা, তার পাশাপাশি এনারা পরিবারেরও যাবতীয় উন্নতি ঘটান।