ভারতকে (India) নিয়েই এখন গোটা বিশ্বে হচ্ছে জয়জয়কার। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ISRO-র চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর। চন্দ্রযান ৩ মিশন নিয়ে দেশবাসীর গর্বের শেষ নেই। কিন্তু এই সফল মিশনের নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে কিছু জানেন? কয়েকজন বিজ্ঞানীর কি অবদান মানুষ কোনওদিন ভুলতে পারবেন? উত্তর অবশ্যই না হবে। এই মিশনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কয়েকজন বিজ্ঞানীর হার না মানা কাহিনী। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চন্দ্রযান-৩ তৈরিতে কোন বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন?
এস সোমনাথ: ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ চন্দ্রযান-৩-এর বাজেটের কথা জানিয়েছেন। এই মিশনটি ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে প্রায় এক হাজার বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেছেন। আজ প্রথমেই এই মানুষটাকে নিয়ে আলচোনা করা যাক। এস সোমনাথ (S. Somnath) একজন মহাকাশ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি যান মার্ক-৩ রকেটের নকশায় সহায়তা করেন। এই বাহুবলী রকেটের মাধ্যমে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে পারেন।
বীরমুথুভেল পি: বীরমুথুভেল পি (P. Veeramuthuvel) চন্দ্রযান-৩-এর অংশ। তিনি ভারতের চন্দ্রযান ২ মিশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ল্যান্ডার বিক্রম গতবার অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সেই সময়ের ভুল সংশোধন করে চন্দ্রযান-৩-এর প্রযুক্তিকে শক্তিশালী করে তুলেছেন তিনি। তিনি চেন্নাই থেকে মাস্টার্স অফ টেকনোলজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি মঙ্গলযান মিশনের সাথেও যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ এবার বিয়েতে খরচ নয়, উল্টে হাতে পাবেন মোটা টাকা! শুধু করতে হবে ছোট্ট একটি কাজ
উন্নিকৃষ্ণণ নায়ার এস: উন্নিকৃষ্ণণও (S. Unnikrishnan Nair) একজন মহাকাশ ইঞ্জিনিয়ার। ভারত যে মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা করছে, সেই মিশনেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের প্রথম পরিচালক ছিলেন। গগনযান মিশনে তাঁর অবদানও প্রশংসনীয়। উন্নিকৃষ্ণণের নেতৃত্বে লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রি শতভাগ সাফল্যের রেকর্ড গড়েছে।