নীতা আম্বানির স্কুলে পড়াশোনা করে এই বলিউড তারকাদের সন্তানরা, ফি লাখ টাকারও উপরে

জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লেখাপড়া শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি মানুষই চায় তাদের সন্তানরা সর্বোত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। আর এর ব্যতিক্রম নয় বলিউড (Bollywood) তারকারাও। এমতাবস্থায় আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে, বলিউডের তারকা সন্তানরা কোন স্কুলে পড়াশোনা করেন?

আসলে কোনো সাধারণ স্কুলে বলি তারকাদের সন্তানদের আনাগোনা অকল্পনীয় ব্যাপার। এমনিতেই বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রই মিডিয়া তাদের ঘিরে ধরে। এই পরিস্থিতিতে তাহলে তারা পড়াশোনা করে কোথায়? সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও বলিউডের উঠতি তারকাদের বেশিরভাগই নীতা আম্বানির (Nita Ambani) ধিরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছেন।

মুম্বইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় অবস্থিত ‘ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’-এর সফর শুরু হয় ২০০৩ সালে। প্রতিষ্ঠাতা নীতা আম্বানি এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা ইশা আম্বানির যৌথ উদ্যোগে ধীরুভাই আম্বানির স্মরণে এই স্কুল শুরু হয়। বিলাসবহুল এই স্কুল এইমুহুর্তে দেশের সেরা ১০ টি স্কুলের মধ্য অন্যতম একটি।

ধিরুভাই আম্বানির স্কুলের ফি : এই স্কুলে বলিউড তারকারা পড়াশোনা করেন মানে এখানকার ফি যে গুগনচুম্বী হবে তা বলাই বাহুল্য। যদিও স্কুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফি সম্পর্কে কিছুই বলা নেই তবে কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এলকেজি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনরত শিশুদের বার্ষিক ফি প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পাশাপাশি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফি ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

কোন তারকা ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে পড়াশোনা করে : বলিউডের ‘কিং খান’ হোক বা পতৌদি প্যালেসের দশম নবাব, বলিউডের সাফল্যের উচ্চ স্তরে থাকা তারকাদের সন্তানরা এই স্কুলেই পড়াশোনা করে। এছাড়াও ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের মেয়ে আরাধ্যা, আরিয়ান খান, জাহ্নবী কাপুর, সারা আলি খান, অনন্যা পান্ডে, সুহানা খান এবং ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন এবং মেয়ে সারা টেন্ডুলকার সহ অনেক তারকা সন্তানের নাম রয়েছে এই তালিকায়।

07 nita ambani kids

আম্বানির স্কুলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায় : সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত অডিটোরিয়াম থেকে ডান্স ক্লাসরুম, যোগা রুম, পরীক্ষাগার, খেলার মাঠ, এসি যুক্ত ক্লাসরুমের মতো নানাবিধ সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে রয়েছে প্রোজেক্টরের সুবিধা। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিদ্যালয়ে প্রতি ৬ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক রয়েছেন। আর এটাই আম্বানির স্কুলকে বাকিদের থেকে আলাদা করেছে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button