বাস্তবে স্বপ্নের শহর (City) টা ঠিক কেমন ? প্রতিটা মানুষের মনেই এক স্বপ্নের সহরের ভাবনা থাকেই। কিন্তু সেই ভাবনাটাও যে সত্যি হতে পারে সেই কথাটা আজও একটু অবাক করে। এই রকমই এক স্বপ্নপুরীর ধারণা কে বাস্তব করেছে এই দেশ। সেখানে 5000 মানুষ অনায়াসেই বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করবে। পৃথিবীর মধ্যে থেকেও এ যেনো এক স্বপ্নপুরী। যেখানে রয়েছে থাকার জন্য ঘর, কাজের সুবিধার জন্য অফিস। মন চাইলে শপিং, থিয়েটার ও যাওয়ার সুবিধা । এই বিলাসবহুল অতিকাঙ্খিত শহর টি তৈরি হতে চলেছে জলের তলায় । মানুষের না দেখা কে দেখতে, আর অজানাকে সামনে থেকে উপভোগ করার স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার এক অভিনব প্রচেষ্টা।
সেখানে জীবন হবে আলাদা, কতটা আলাদা ?
সিটি আয়তনে ওশান স্পাইরাল প্রস্থে চারটি ফুটবল মাঠের সমান হবে এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠের দুই মাইল নীচে অবস্থিত হবে। ছিমছাম বাড়িঘর, ঝাঁচকচকে মল, ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, এমন কি যোগাযোগ মধ্যম ও হবে ঠিক পৃথিবীর মতোই সুন্দর, বলা যেতে পারে আরো কিছুটা বেশী বিলাসহুল। সব কিছুই হবে খুব নিখুঁত, ঠিক যেনো স্বপ্ন। কিছু বিষয়ের ওপর কড়া নজর রয়েছে যেমন এতে মানুষের বসবাসের জন্য বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কেনাকাটার জন্য মল, থাকার জন্য হোটেল, ব্যবসা করার জন্য অফিস এবং পরিবহনের সমস্ত উপায় থাকা উচিত। পূর্ণ সূর্যালোক থাকতে হবে, অক্সিজেনের কোনো অভাব নেই এবং ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার সবাইকে দিতে হবে এবং তাও পৃথিবীর কোনো সাহায্য ছাড়াই। এই সব সুযোগ সুবিধা এগুলোকে আরো গ্রহণযগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে মনুষ্য সমাজে।
এবার যদি কেউ পৃথিবীতে আসতে চায়, তাও কি সম্ভব? কেনো নয়! সেই প্ল্যানও যুক্ত হয়েছে এই ফিউচার আন্ডারওয়াটার সিটির ধারণা কে নিয়ে যে প্রজেক্ট ওয়ার্ক চলছে সেখানে । যেখানে বলা হয়েছে পৃথিবী আর আন্ডাওয়ারটা সিটি যেনো দুটো পাশাপাশি শহর, যেখানে কয়েক মিনিট এই মানুষ পৌঁছে যাবে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। এই ধারণা অবাক করেন এরকম মানুষ বিরল। আর এই ধারণাকে বাস্তবায়িত করতে চলেছে জাপানের এক বিখ্যাত বহুজাতিক নির্মাণ ও স্থাপত্য কোম্পানি। আমরা সকলেই জাপানের প্রযুক্তি বিষয়ক ধ্যান ধারণা নিয়ে ওয়াকিবহাল। তারা বলেছেন যেখানে সম্পূর্ণ সমুদ্রের নিচে থাকা শহরটিতে থাকবে কয়েক হাজার মানুষের ঘর, মল, হোটেল, মার্কেটসহ ঘোরাঘুরির সব সুযোগ সুবিধা ।
ভূগোলে সবাই পড়ে এসেছে পৃথিবীর প্রায় এক ভাগ স্থলভাগ, আর তিন ভাগ জলভাগ। আর মানুষ আজ পৌছে গেছে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায়, হয় আগ্রহ বসে নয়তো বা বাসস্থানের খোঁজে। দেশ, মহাদেশ, মাইক্রোনেশন, হনলুলুর দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি অ্যান্টার্কটিকার বরফ অঞ্চলেও আজ মানুষের পায়ের ছাপ পড়েছে, গড়ে তুলেছে বসতি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা একটা কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আর মানুষ এখন নতুন কিছু করতে চাইছে, তারা চাইছে সমুদ্রের রূপকথার রাজ্য বানাতে ।
আর এই স্বপ্নকে বাস্তবের মাটিতে বলা ভুল, বাস্তবের অতল সমুদ্রে সত্যের রূপ দিতে এগিয়ে এসেছে জাপানের বহুজাতিক স্থাপত্য কোম্পানি শিমিজু কর্পোরেশন, যেটি জাপান এবং সারা বিশ্বে অনেক বড় অত্যাধুনিক নির্মাণ প্রকল্প তৈরি করেছে। তারাই প্রথম এরকম এক প্ল্যান নিয়ে এসেছে যেখানে জলের নিচে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। যা ভবিষ্যতের এক সম্ভাবনাময়ী পরিকল্পনা হতে পরে। যা ক্রমবর্মান জনসংখ্যাকে বাসস্থানের সংকট থেকে মুক্ত করতে পারে। এ এক নতুন শহর, অনেকটা ঠিক রূপকথার দেশ এর মত, যেনো জলপরীদের দেশ ।