আস্ত চাঁদ নেমে আসবে পৃথিবীর বুকে! ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে ভারতের এই বন্ধু দেশ

আধুনিক যুগে বদলেছে হরেক নিয়ম, আইন কানুন। মানুষ এখন ভিন্নরকম কিছু করতে বড়ই আগ্রহী। মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ তেলের টাকায় বলীয়ান হয়ে ভবিষ্যতের অনেক পরিকাঠামো তৈরি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত হলো দুবাই নগরী। শহরের নাম শুনেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে গগনচুম্বী সব অট্টালিকা। কিন্তু এবার দুবাই যা করতে চলেছে তা একেবারেই অনবদ্য।
দুবাইতে এবার নয়া চাঁদ উঠতে চলেছে। হ্যাঁ সত্যিই তেমনটাই হচ্ছে। আসলে দুবাইতে তৈরি হতে চলেছে বিশাল এক রিসর্ট, যার আকৃতি হবে চাঁদের মতো। জানা যাচ্ছে কানাডিয়ান আর্কিটেকচার কোম্পানি মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট সাশ্রয়ী মূল্যে মহাকাশ পর্যটনের জন্য মাটিতেই একটি রিসর্ট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন সেখানে এই পৃথিবীতে বসেই মানুষ চাঁদের অনুভূতি নিতে পারবে।
জানা যাচ্ছে এই চাঁদ তৈরি হতে প্রায় ৪ বছর সময় লাগবে। এছাড়া এই চাঁদের উচ্চতা সম্পর্কেও জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৩৫ ফুট উঁচু হবে এই নব্য চাঁদ। এই নয়া স্থাপত্য নির্মাণের জন্য প্রায় ৪.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে দুবাই সরকার। আপনারা হয়তো ৪.২ বিলিয়ন ডলারের অংক ঠিক বুঝতে পারলেন না, ভারতীয় মুদ্রায় এই অংক হলো প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা। তাই বলাই যায় যে, বিশ্বের অন্যতম দামী স্থাপত্য হতে চলেছে দুবাইয়ের এই নয়া মুন রিসর্ট।
মুন রিসর্টে সমস্ত কিছুই উপলব্ধ থাকবে। সেখানে বিনোদন, প্রযুক্তি, আকর্ষণ, শিক্ষা, পরিবেশ এবং মহাকাশ পর্যটনের মতো অনেক বিলাসবহুল সুবিধা থাকবে। আর এই সমস্তকিছু অভিজ্ঞতা করার জন্য বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের দল আসবে দুবাইতে।
নয়া রিসর্ট সম্পর্কে মুন ওয়ার্ল্ড রিসর্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যান্ড্রা জি ম্যাথিউস বলেন, “মুন রিসর্ট হবে দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সফল আধুনিক পর্যটন প্রকল্প, যা আগামীতে দুবাই ভ্রমণকারী পর্যটকদের সংখ্যা দ্বিগুণ করবে বলে আশা করছি। বর্তমানে আমরা দুবাই কর্তৃপক্ষ এবং পরিকল্পনাকারীদের সাথে কথা বলে মুন রিসর্ট তৈরির জন্য সঠিক জায়গা খুঁজছি।”
View this post on Instagram
তেলের যুগ শেষ হতে চলেছে, তাই তেলের ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পর্যটনকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। দুবাইতে এই মুন রিসর্ট তৈরি হলে তা বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হবে। প্রসঙ্গত ঠিক একইরকম ভাবে সৌদি আরবও নিজেদের ভবিষ্যত এর স্থাপত্য শৈলীকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য ‘The Line’ নামের এক শহরের কনসেপ্ট নিয়ে এসেছিল। যেখানে একটাই লাইনে থাকবে ঘর, কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমস্তটাই।