কীভাবে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে সেরার সেরা হওয়া যায় সেই নিয়ে এক প্রকার অঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে রিলায়েস জিও (Jio) ও এয়ারটেল (Bharti Airtel)। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে রিলায়েন্স Jio হল দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা। যদিও সেই তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে ভারতী এয়ারটেল। এদিকে এয়ারটেলের কাছে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছে জিও। কে কীভাবে আরও দারুণ দারুণ অফার এনে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় সেই নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করছে দেশের এই দুই বড় টেলিকম সংস্থা।
প্রকৃতপক্ষে, পোস্টপেইড গ্রাহকরা টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য সর্বদা একটি লাভজনক চুক্তি। এটি প্রিপেইড পরিষেবাগুলির তুলনায় সংস্থাগুলির ব্যবহারকারী প্রতি গড় আয়কে উন্নত করে। অতএব, সংস্থাগুলির জোর পোস্টপেইড গ্রাহকদের উপর রয়ে গেছে। বিনিময়ে গ্রাহকরা কোম্পানির কাছ থেকে আরও ভালো সুযোগ-সুবিধাও পান।
রিলায়েন্স জিও এই বছরের মার্চ মাসে তাদের নতুন পোস্টপেইড প্ল্যান চালু করেছিল। কিন্তু বাজারে তেমন সাড়া পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে এয়ারটেল পোস্টপেইড গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। এর মূল কারণ হল এয়ারটেলের পোস্টপেইড সার্ভিসকে প্রিমিয়াম করা। জিও-কে কড়া টক্কর দিতে নিজেদের কৌশল আরও জোরদার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএনপি পারিবাস ইন্ডিয়ার ইক্যুইটি রিসার্চ বিভাগের প্রধান কুণাল ভোরা বলেন, পোস্টপেইড বিষয়টি একটি পুশ মার্কেট প্রোডাক্ট। সংস্থাগুলিকে ক্রমাগত গ্রাহকদের সাথে জড়িত থাকতে হবে যাতে তারা প্রিমিয়াম থেকে পোস্টপেইডে রূপান্তরিত হতে পারে। একই সঙ্গে রিটেইল স্টোর ও কল সেন্টার সম্পর্কিত অনেক মার্কেটিং স্টেপ নিতে হয়, যা বর্তমানে রয়েছে এয়ারটেল নখদর্পণে।
আরও পড়ুনঃ সস্তার প্ল্যান, দুর্দান্ত স্পিড! ভারতের প্রথম ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড চালু করল AIRTEL, মাথায় হাত Jio-র
এপ্রিল থেকে জুনের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে এয়ারটেল প্রায় ৮ লক্ষ নতুন পোস্টপেইড ব্যবহারকারী যুক্ত করেছে। তবে জিওর পক্ষ থেকে কিছু তথ্য জানানো হয়নি। সংস্থাটি জানিয়েছে যে তাদের জিও ফাইবার পরিষেবা গ্রাহকদের বেশিরভাগই পোস্টপেইড প্ল্যান ব্যবহার করছেন। ট্রাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল ও মে মাসে জিও ৫.৯ লক্ষ নতুন ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী যুক্ত করেছে এবং এই ধরনের মোট গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯০ লক্ষ। সব মিলিয়ে এপ্রিল-জুন মাসে এয়ারটেলের অ্যাকাউন্টে ৩১ লক্ষ নতুন গ্রাহক এসেছে। অন্যদিকে জিও ফাইবার সহ রিলায়েন্স জিওর গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৯২ লক্ষ।