চাকরি ছেড়ে শুরু করেন নিজের ব্যবসা, দুর্দান্ত আইডিয়ার জেরে আজ মাসে ৩ লাখ টাকা আয় ইলার

স্টার্টাপের এই যুগে দশটা পাঁচটার চাকরি থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন অনেকেই। বেশিরভাগই ঝুঁকছে ব্যবসার দিকে। কিন্তু ব্যবসা এমন একটি পরিকল্পনা যাতে লাগে ধৈর্য্য, একাগ্রতা এবং সঠিক পরিকল্পনা। অনেকেই এই চেষ্টায় সফল হন আবার অনেকে ব্যর্থও হন। অনেকে আবার শুধু ভাবতেই থাকেন। আজ বলবো গুরুগ্রামের বাসিন্দা ইলার কথা যিনি নিজের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জোরে নিজেকে সাফল্যের শীর্ষস্তরে নিয়ে গেছেন।
মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বেকারি খোলেন। ২০০৭ সালে, তার খোলা বেকারির নাম দিয়েছিলেন Truffle Tangles। আজ তার দৈনিক আয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। তার বেকারির কেক, গ্লুটেন, কুকিজ, চকলেট, ডেজার্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মানুষ তার বেকারির প্যাটি, স্টাফড বানও পছন্দ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশন, পার্টি ইত্যাদি ইভেন্টের অর্ডার আসতে থাকে তার কাছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা ইলা, যিনি তার চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেননা। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দ্য বেটার ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, ইলা WGSHA থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টের কোর্স করেছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি হাসপাতাল ইন্ডাস্ট্রিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি চেন্নাইয়ের চোলা শেরাটনে কাজ করেন। পরবর্তীতে ইলা কলকাতার ‘তাজ বেঙ্গল’-এ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে কাজ শুরু করেন। এসময় তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি স্বামীর সাথে গুরগ্রামে চলে আসেন।
গুরগ্রামে যাওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বেকারি খোলার পরামর্শ দেন। এরপর নিজের ইচ্ছা, পরিশ্রম আর স্বামীর সহযোগিতায় এই বেকারি খোলেন ইলা। Truffle Tangles-কে দেশে অন্যতম নামি বেকারি গড়ে তোলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ইলা। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে জীবনে কঠোর পরিশ্রম ব্যতীত সাফল্য ধরা দেয়না।
এ সময় স্বামীর সহযোগিতা পান ইলা। অনেক সময় তিনি নিজেই পৌঁছে দিতেন। ইলা দৈনিক ঘন্টার পড় ঘণ্টা কাজ করেন। ইলা বিশ্বাস করেন যে জীবনে কঠোর পরিশ্রম সবকিছু দেয়। কিছুই সহজে পায় না।