বাবা অটো ড্রাইভার, এক কামরায় থাকে গোটা পরিবার! বিচারকের পরীক্ষায় পাশ করে চমকে দিলেন মেয়ে

কারো মনে যদি অদম্য জেদ থাকে তাহলে যে কোনও বড় কাজই করা সম্ভব হয় তা বারবারই প্রমাণিত হয়েছে। অসাধ্য সাধন করা কিন্তু সকলের ভাগ্যে থাকে না তবে গুলফামে জীবন যে এভাবে বদলে যাবে তা হয়তো তিনি কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি। তার বাবা পেশায় একজন অটো ড্রাইভার মাত্র এক কামরায় থাকে গোটা পরিবার আর সেই ঘরের মেয়েই কিনা পাস করল বিচারকের পরীক্ষা। অত্যন্ত খারাপ সময় কেটেছে পাঞ্জাবের মালের কোটলায় বসবাসকারী গুলফাম সৈয়দের পরিবারের। তবে তাঁর জেদের কাছে হার মেনেছে সবকিছুই। সংসারের হাল এবার তিনি ধরেছেন।

   

প্রকৃতপক্ষে, গুলফাম পাঞ্জাব সিভিল সার্ভিস জুডিশিয়াল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন তিনি একজন বিচারক হয়েছেন এবং তার সাফল্যের জন্য তার বাবা তালিব হুসেনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি আজ যে অবস্থানে রয়েছেন তা তার বাবার কঠোর পরিশ্রমের ফসল।

গুলফাম ও তাঁর পরিবার অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দিন গুজরান করেছেন। তিনি তার শহরের ইসলামিয়া গার্লস সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, তারপরে তিনি ইসলামিয়া গার্লস কলেজ মালের কোটলা থেকে স্নাতক হন। এরপর তিনি পাতিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি’র জন্য নিজের পথচলা শুরু করে। নিজের সমস্যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গুলফাম বলেন, পরীক্ষা দিতে তাঁকে পাতিয়ালায় যেতে হয়েছিল, প্রতিদিন ১৫০ টাকা খরচ হত এবং তাঁর বাবার কাছে অত টাকা অবধি ছিল না। অত বড় পরিবার, সবকিছুতেই সমস্যা হত।

gulfam sayyad

গুলফাম বলেন, তার পরিবার এক কামরায় থাকে। এখানেই তিনি রান্না করেন এবং এখানেই তিনি ঘুমান।  গুলফাম বলেন, ‘অনেক সময় তার বাবা টাকা দিতেন, তখন তার বাবার পকেট পুরোপুরি খালি থাকত। তিনি সর্বদা বলতেন যে যাই হোক না কেন, আমি যেন এই টাকাটা গ্রহণ করি এবং মন দিয়ে যেন পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি।‘