সরকারি সাহায্য নিয়ে মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা, মাসে হবে ৫০ হাজার টাকা আয়

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চাকরির পাশাপাশি কিছু বাড়তি রোজগার থাকলে খরচ খরচা চালাতে খুবই সুবিধা হয়। আপনিও যদি কিছু বাড়তি উপার্জনের সন্ধান করছেন তাহলে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী প্রতি মাসে আপনি সহজেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। আমরা আজ আপনাদের যে ক্ষেত্রে ব্যাবসার (Business) কথা বলতে চলেছি সেখানে জোর দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এই ব্যাবসা হলো খেলনার ব্যবসা। একসময় চীনের ক্ষতিকারক দ্রব্য দিয়ে তৈরি করা সস্তায় খেলনা ভারতের বাজারে ছেয়ে যায়। আর সেই অবস্থা থেকে ভারতকে প্রায় একার হাতে উদ্ধার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সরকারের পক্ষ থেকেও এই শিল্পের জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে। তাই এই সেক্টরে এসে আপনি শুধু নিজের জন্যই দারুণ আয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না, দেশকেও স্বনির্ভর করতে বিশেষ অবদান রাখতে পারবেন।
ব্যাবসা শুরুর সময় মাথায় রাখবেন কোনো ব্যবসাই সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়ে যায় না। এক সাথে কয়েক ডজন শ্রমিক নিয়ে একটি কারখানা শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ভালোভাবে বুঝে ধীরে সুস্থে ভেবেচিন্তে এই ব্যবসা শুরু করতে হবে আপনাকে। ঘরে বসেই শুরু করতে পারেন সফট টয় এবং টেডি তৈরির ব্যবসা। আর এতে আপনার লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করারও দরকার নেই। আপনি কেবল 40,000 টাকা বিনিয়োগ করে ব্যাবসা শুরু করলেই প্রতি মাসে 50,000 টাকা আয় করতে পারবেন।
ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় দুটি বস্তু। আর সেই দুটি মেশিন কিনতেই হবে আপনাকে আর সাথে অবশ্যই রয়েছে কাঁচামাল। ছোট পরিসরে সফ্ট টয় এবং টেডি তৈরি করতে আপনাকে হাতে চালিত কাপড় কাটার মেশিন এবং সেলাই মেশিন এর প্রয়োজন পড়বে। হাতে চালিত কাপড় কাটার মেশিনের দাম প্রায় 4,000 টাকা থেকে শুরু হয় এবং সেলাই এর মেশিন পাওয়া যায় 9,000 থেকে 10,000 টাকায়৷ l
শুরুতে আপনাকে 15,000 টাকার কাঁচামাল নিয়ে আসতে হবে। এবার সেখান থেকেই আপনি 100 ইউনিট সফ্ট টয় এবং টেডি তৈরি করতে পারেন। ব্যাবসার শুরুতে যে 35,000 টাকা বিনিয়োগ করছেন সেটিও খুব শীঘ্রই উঠে আসবে। যেমন ধরুন বাজারে একটি টেডি সহজেই 500-600 টাকায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, আপনি 35000 থেকে 40000 টাকা বিনিয়োগ করেই প্রতি মাসে 50000-60,000 টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ভারতীয় খুদেদের জন্য ভারতেই খেলনা তৈরীর কাজ চলেছে দ্রুত গতিতে। এক লহমায় 70 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে চিন থেকে আমদানি করা খেলনার সংখ্যা। এমনকি মাত্র 3 বছরেরই ভারতীয় খেলনার প্রচলন বেড়েছে 61 শতাংশ। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং উদ্যোগ মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল (Piyush Goyal) বলেন, ‘কি দারণ পরিবর্তন! ভোকাল ফর লোকাল মন্ত্রে কাজ করেই চিনকে মোক্ষম আঘাত হেনেছে ভারত।