পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে কে না চায়। ভালো চাকরি করে অর্থ উপার্জন করা আমাদের সকলেরই জীবনে একটা লক্ষ্য থাকে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা ৯-৫টার চাকরি করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন। একপ্রকার পালানোর পথ খুঁজছেন। সেক্ষেত্রে অনেকেই আছেন যারা চাকরি ছেড়ে ব্যবসার (Business) দিকে মন দেন। তবে ব্যবসা করতে গেলেও একটু মার্কেট স্ট্র্যাটেজি, বুদ্ধি থাকা জরুরি বৈকি। অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা করার কথা তো ভাবেন বটে কিন্তু কি নিয়ে ব্যবসা করবেন সে নিয়ে ধন্ধে পড়ে যান। তবে আর চিন্তা নেই, আপনিও যদি ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন এবিং মাস গেলে ৪০০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে শুধুমাত্র আপনার জন্য রইল এই প্রতিবেদনটি।
আপনিও যদি পোষ্য ভালোবেসে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কিন্তু এক দারুণ সুযোগ অপেক্ষা করছে। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে আজকাল মানুষ পশু, বিশেষ করে গরু, মহিষ, বিড়াল এবং কুকুর তাদের বাড়িতে রাখে এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণও করে। এ কারণে পোষ্যদের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বাজারে এখন অনেক ধরণের খাবার পাওয়া যায়। আপনিও এই পেট ফুডের ব্যবসা (Pet food businesses) শুরু করতে পারেন।
কিন্তু এই ব্যবসা শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি। আপনি যদি পোষ্যের খাবারের দোকান খুলতে যাচ্ছেন এবং চান যে পরে আপনার কোনও আইনি সমস্যা না হয়, তাহলে আপনার জরুরি আইএসও শংসাপত্র। শুধু তাই নয়, এছাড়াও জিএসটি নম্বর-সহ প্রয়োজনীয় অনুমতিগুলি আপনাকে নিতে হবে। আজকের সময়ে ইন্টারনেট শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এর সাহায্যে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে এবং এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। আপনি অনলাইন হোক বা অফলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
এছাড়া পশু খাদ্যের ব্যবসার জন্য আপনাকে ন্যূনতম ২০০০০ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক বিনিয়োগ করতেই হবে। এই ব্যবসায় লাভ হলে আপনি মাস গেলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে এখানে একটা বিষয় বলে রাখা জরুরি, পোষ্যের খাদ্য নিয়ে ব্যবসা শুরুর আগে আপনাকে এই ধরনের প্রাণীর পুষ্টির সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পোষ্যের খাদ্য তালিকার চাহিদার সঙ্গে সুপরিচিত হতে হবে।