রেল ইঞ্জিনে লেখা থাকে এই বিশেষ কোড, সেখানেই লোকানো থাকে রহস্য! জানুন এর বিশেষত্ব

ভারতীয় রেল (Indian Railways) এখন অনেক বেশি অত্যাধুনিক। যদিও এখনো আরো অনেক উন্নতি করার প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু রেলের আধুনিকরণ হচ্ছে বিদ্যুৎ গতিতে। রেলের বগি থেকে শুরু করে ইঞ্জিন (Locomotive), সবেতেই নিয়মের ব্যাপক অদলবদল ঘটছে। তবে এর মধ্যে রেল রিসার্চ চালাচ্ছে কীভাবে ইঞ্জিন এর শক্তি আরো বাড়িয়ে ফেলা যায়।
ট্রেনে ইঞ্জিনে ইতিমধ্যেই আমূল পরিবর্তন এসেছে। যুক্ত হয়েছে একের পর এক নয়া শক্তিশালি ইঞ্জিন। ট্রেনে যাতায়াত করে সময় আমরা হামেশাই লক্ষ্য করি যে, ট্রেনের ইঞ্জিনে ওপর কিছু লেখা রয়েছে। মালগাড়ির ইঞ্জিন হোক বা ট্রেনের ইঞ্জিন, ইঞ্জিনের ওপর লেখা থাকা নম্বর থেকে কী কী জানা যায় তা জানেন কী?
সমস্ত ইঞ্জিনের ওপরেই একটি সাংকেতিক কোড লেখা থাকে। আপনার হয়তো এতদিন জানতেন না এর অর্থ কী, আপনাদের আজ সেই তথ্যই জানাতে চলেছি। আসলে এই নাম্বারের রয়েছে বিশেষ অর্থ। এখন থেকে ট্রেনের সেই ইঞ্জিন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
ট্রেনের ইঞ্জিন নাম্বার থেকে জানা যায় যে, সেটি ডিজেল ইঞ্জিনে চলে নাকি বিদ্যুতে। এছাড়া ইঞ্জিনটি কোন পণ্যবাহী ট্রেন নাকি যাত্রীবাহী ট্রেন, কী কারণে ব্যাবহৃত হয় সেটাও জানা যায়। এছাড়া সেখানে উপস্থিত ইংরাজি বর্ণমালার অক্ষর এরও বিভিন্ন অর্থ রয়েছে।
ইংরেজী বর্ণমালার বিভিন্ন শব্দের কী অর্থ : রেলপথে তিন ধরনের লাইন আছে, বড় লাইন, ছোট লাইন এবং সরু লাইন। রেলের ভাষায় এদের বলা হয় ব্রডগেজ, মিটারগেজ এবং ন্যারোগেজ। ন্যারোগেজগুলো অবশ্য শুধু পাহাড়েই দেখা যায়। তাই সেইভাবে ইঞ্জিনে W লেখা থাকলে তার থেকে জানা যায় যে এটি আসলে ব্রডগেজ লাইনের ইঞ্জিন, Y এর অর্থ হলো মিটার গেজ লাইনের ইঞ্জিন এবং Z লেখা থাকলে বোঝা যায় যে, সেটি ন্যারো গেজের ইঞ্জিন। এছাড়া D লেখা থাকার অর্থ সেটি ডিজেল চলে।
রেলের প্রথম দুটি অক্ষর এর ব্যাপারে জানতে পারলেন, এবার তৃতীয় অক্ষর দ্বারা বোঝা যায় যে, এই ইঞ্জিনটি কীসের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। G লেখা থাকার অর্থ সেটি পণ্য পরিবহনে ব্যবহার হয়। ইঞ্জিনের চতুর্থ এবং পঞ্চম অক্ষর দ্বারা ইঞ্জিনের শক্তির ধারণা পাওয়া যায়। জানা যায় ইঞ্জিনটি কত হর্সপাওয়ার এর।