অক্ষরে অক্ষরে যেন মিলে গেল পূর্বাভাস। সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনেই আমূল বদলে গেল আবহাওয়া। ঠাণ্ডা একটা আবহাওয়া থাকলেও মেঘে ঢেকে গেল আকাশ। আবার মাঝে মধ্যে অবশ্য কালো মেঘের আড়াল থেকে রোদ উঁকি দিচ্ছে। যদিও আজ মেঘলা আবহাওয়া দেখেই রীতিমতো সকালটা শুরু হল শহরবাসী (Kolkata) থেকে শুরু করে গোটা দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) মানুষের।
গোটা রাজ্যের মানুষ বর্তমানে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন। গরম, রোদ, বৃষ্টির ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে রাস্তা থেকে শুরু করে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নেমেছে মানুষের ঢল। পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠেছেন ছোট থেকে বয়স্ক সকলে। আজ মহানবমী। অর্থাৎ হাতে মাত্র আর একটা দিন, তারপরেই বিষাদের পরিবেশ ছেয়ে যাবে বাংলায়। তারপর ফের সেই টানা একটা বছরের অপেক্ষা।
এদিকে পুজোর মাঝেই বাঙালির আরও একটি বিষয় নিয়ে যথেষ্ট মন খারাপ, আর সেটা হল বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া গভীর নিম্নচাপ ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় তেজ। এই দুই ফলায় প্রবল আবহাওয়া বদলের সাক্ষী থাকতে চলেছেন সকলে। বাংলায় ঘূর্ণিঝড় তেজের তেমন প্রভাব না পড়লেও বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলার জেলাগুলিতে।
আজ নবমীর দিন থেকেই কলকাতা সহ একের পর এক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর মৌসম ভবন। যার ফলে সকলের নবমীর আনন্দ একপ্রকার মাটি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগরে অতি শক্তিশালী সাইক্লোন ‘তেজ’ ক্রমশও ক্ষমতা বাড়াচ্ছে৷ রবিবার ২২ অক্টোবর বিকেলেই নিজের শক্তি তুমুল বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে।
এদিকে গভীর নিম্নচাপের কারণে নবমী ও দশমী বাংলার জেলাগুলিতে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, নবমীর দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। দশমী একাদশীর বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে।