ঋণ মেটাতে বিক্রি করতে হয়েছিল বাড়ি, দারুণ আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা খুলে দু’বছরেই ১২ কোটি আয়

পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি তারপর গুছিয়ে সংসার করা। সাধারণত এইরকমই একটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে বেশিরভাগ মানুষ। মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে নতুন কিছু করার মতো ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই থাকে। তবে আজকের প্রতিবেদনে এমন এক দম্পতির কথা বলবো যারা বিয়ের পর সংসার না গুছিয়ে ব্যবসা গোছানোর মতো সাহস দেখিয়েছিলেন।

এইমুহুর্তে আউটডৈর বিজনেস করছে দীপ্তি এবং বিকাশ। বর্তমানে gohordigns.com এর মতো কোম্পানির মালিক তারা। তাদের দুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই ১২ কোটি টাকার কোম্পানি। আর তাও কি না মাত্র দু’বছরের মধ্যে। তাহলে চলুন জেনে নিই কীভাবে শুরু হয়েছিলো দীপ্তি-বিকাশের গল্প।

দীপ্তি জন্মসূত্রে দিল্লির বাসিন্দা। তিনি দিল্লির কমলা নেহেরু কলেজ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। গ্রাজুয়েশনের সময়ই তার মাথায় সিএ করার চিন্তা আসে এবং তিনি ভর্তিও হন। কিন্তু কিছুদিন পর আর মন না লাগায় মাঝপথেই তা ছেড়ে দেন। এরপর সাল ২০১৩ তে দীপ্তির মনে হয় নতুন কিছু করার চেষ্টা করা উচিত। এরপরই একটা বড়ো অনুষ্ঠান আয়োজন করার সুযোগ আসে তার কাছে। দেশের বড় বড় সেলিব্রিটিরাও এই কর্মসূচির অংশ ছিলেন।

দীপ্তি এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি। গোটা অনুষ্ঠান আয়োজন করার দায়িত্ব নেন তিনি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেইসময় তিনি তার অনুষ্ঠানের জন্য কোনো স্পন্সর তো পায়নি, উল্টে তার টিকিটও বিক্রি হয়নি। পুরো ৪০ লাখ টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। এইরকম একটা সময় যখন দীপ্তি চারিদিক থেকে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছে সেইসময় তার বাবা নিজের বাড়ি বিক্রি করে ৪০ লাখ টাকার লোন শোধ করেন।

এবং এই ঘটনার ৩ মাস পর দীপ্তির বিয়ে হয় বিকাশ শর্মার সঙ্গে। বিকাশ ছিলেন পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে ঠিক করে তারা নিজেদের ব্যবসা খুলবে আর সেইমতো বিকাশ চাকরি ছেড়ে কিছু ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। এমতাবস্থায় তার মনে হয় যে, এমন একটা সংস্থা তৈরি করলে কেমন হয়, যেখানে মাত্র একটি ক্লিকেই মানুষের হোর্ডিংয়ের কাজ সহজ করে দেবে।

আর এই ভাবনা থেকেই gohoardings.com এর প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র এক লাখ টাকা দিয়ে শুরু হয় তাদের জার্নি। শুরুর পর থেকে নানা চড়াই উতরাই এলেও একটা বারের জন্যেও থেমে থাকেনি এই দম্পতি। জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ২ বছরে তাদের কোম্পানির বার্ষিক পারেন ওভার ১২ কোটি টাকারও বেশি। তবে এখানেই থেমে নেই, তাদের পরবর্তী টার্গেট এই টার্ন ওভারকে ৫০ কোটিতে নিয়ে যাওয়া।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button