পৃথিবীর থেকে ৪০ গুণ বড় দুটি গ্রহের আবিষ্কার করল বিজ্ঞানীরা! গড়ে উঠতে পারে মানব বসতিও

আমাদের জানা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতেই (Earth) প্রাণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের বহুদিনের নিরলস পরিশ্রমের ফল জানাচ্ছে যে, তারা অন্য গ্রহেও মানব সভ্যতা স্থাপন করতে পারে। গবেষণা এগিয়ে বিয়ে যাওয়ার সময় বিজ্ঞানীরা এমন খোঁজ পেয়েছেন যা তাক লাগিয়ে দিতে পারে। জানা যাচ্ছে আরো দুটি এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet) রয়েছে যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু আপনারা কি জানেন কী এক এক্সোপ্ল্যানেট? আসলে এক্সোপ্ল্যানেট আর কিছুই না, তারাও আমাদের পৃথিবীর মতোই গ্রহ, আর তারাও একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। কিন্তু তারা অবস্থিত এই সৌরজগতের বাইরে। সেখানেই তারা সূর্যের মতো একটি গ্রহকে অনবরত প্রদক্ষিণ করছে। এবার যখন আপনারা জেনেছেন কী এই এক্সোপ্ল্যানেট তখন চলুন জেনে নেওয়া যাক কী আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা যে দুটি গ্রহকে আবিষ্কার করেছেন তা পৃথিবী থেকে প্রায় 100 আলোকবর্ষ দূরে।জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী লেটিশিয়া ডেলরেজ এই আবিষ্কারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সারা বিশ্বের থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের নিয়ে রিসার্চ শুরু করে তার টিম। আর সেখানে রিসার্চ টিম যে গ্রহগুলিকে আবিষ্কার করছে তার একটি ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (TESS – Transiting Exoplanet Survey Satellite) এর সাহায্যে আবিষ্কৃত হয়েছে।

আপাতত সেই নব আবিষ্কৃত গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে Lp 890-9b। এবং অন্য যে গ্রহের কথা বলা হচ্ছে সেটির আবিষ্কার করা হয়েছে প্রথম গ্রহটির সাহায্যেই, সেই গ্রহের নাম LP 890-9c। বিজ্ঞানীদের ধারণা সেখানে প্রাণের সম্ভাবনা প্রবল। আকার আকৃতি কথা বললে জানা যাচ্ছে যে নতুন এই গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় 40 গুণ বড়। প্রসঙ্গত এই আবিষ্কারের জন্য SPECULOOS টেলিস্কোপকেও ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞানীরা সেখানে প্রাণের সম্ভাবনা কেন দেখলেন: বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে, এই গ্রহটি যে নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরছে তার তাপমাত্রা সূর্যের অর্ধেক। তাই LP 890-9c তে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে আর তাই মানুষের পক্ষে সেখানে বায়ুমণ্ডল গড়ে খুব একটা জটিল ব্যাপার না। নাসা নিজেদের আর্টেমিস 1 মিশনও ঠিক একই কাজ করছে।

1317511 p1

জ্বালানি লিক করার কারণে আর্টেমিস 1 মিশন দেরি হয়েছে। আগামী 23 সেপ্টেম্বর এই মিশনকে পুনরায় লঞ্চ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। নাসা তাদের এই মিশনে সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রাণের খোঁজ চালাবে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button