নয়া দিল্লিঃ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিবাদ ইউক্রেনে বসবাসকারী মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে তার এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে এবং তারা যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি ফেসবুক পোস্টও সামনে এসেছে। এই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন যে, তাকে বলা হয়েছে যে 16 ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার দিন হবে। তবে ইউক্রেন ওই দিন ঐক্য দিবস পালন করবে। এ সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
"US still does not believe Putin has made a decision to invade, but possible he could move with little to no warning," says Pentagon spokesperson
— ANI (@ANI) February 14, 2022
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও এসেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ভারতসহ মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পোস্টের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের কার্যালয় পেন্টাগন এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘আমেরিকা এখনও বিশ্বাস করছে না যে পুতিন ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এটাও সম্ভব যে তারা কোনো সতর্কতা ছাড়াই এগিয়ে যাবে।”
ভারতের কথা বললে, ভারত থেকে হাজার হাজার পড়ুয়া ইউক্রেনে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করছে। এরা রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরল এবং পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের নিরাপদে ইউক্রেন থেকে বের করে আনার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে 20 হাজার ভারতীয় ইউক্রেনে আটকা পড়েছে, যার মধ্যে 18,000 ছাত্র যারা ইউক্রেনে অধ্যয়ন করছে।
এই গোটা বিবাদে দুই দেশই ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে ভারত এখনও রাশিয়া থেকে তার 55 শতাংশ অস্ত্র কেনার কাজ করে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের জন্য, ভারত এশিয়ার সেই প্রথম দেশ যারা ফেব্রুয়ারি 1993 সালে সেখানে দূতাবাস খুলেছিল। এরপর থেকে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে বাণিজ্য, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে, যার অর্থ ভারত এই উভয় দেশের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ঝুঁকি নেবে না। এই কারণেই সম্প্রতি আমেরিকাসহ 10টি দেশ যখন জাতিসংঘে ইউক্রেন নিয়ে প্রস্তাব আনে, তখন ভারত কারও পক্ষেই ভোট দেয়নি।