শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ ২০২৩ সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করে নিয়েছে ভারত (India)। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের প্রতাপশালী পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেট প্রেমীদের অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এই টিম ইন্ডিয়াকে আটকানো মুশকিল। দল নিঃসন্দেহে ভালো খেলছে। তবুও ফাঁক-ফোঁকর থেকেই যায়। কৌশল বদল করে ফাঁক-ফোঁকর করা অধিনায়কের অন্যতম কাজ।
ভারতের আগামী ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে। ভারতের পর এই দক্ষিণ আফ্রিকা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ধারাবাহিক দল। দুই টিম একাধিক ম্যাচে চড়েছে রানের পাহাড়ে। সেমিফাইনালের ম্যাচ খেলার আগে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ ভারতের জন্য কঠিন হতে পারে। আগামী ৫ নভেম্বর, রবিবার দুই দলের খেলা। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলেও নিজেদের মোমেন্টাম ধরে রাখতে চাইবেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। দক্ষিণ আফ্রিকাও সেমিফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। ভারতকে পরাজিত করে বাকি কাজটা সারতে চাইবেন তেম্বা বাভুমারা।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের তিনজন ব্যাটসম্যান শতরান করতে পারতেন। শুভমন গিল, বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার। টুর্নামেন্টে রোহিত শর্মা ফর্মে থাকলেও বৃহস্পতিবারের ম্যাচে নিজের নামের প্রতি সুবিচার পাননি। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হয়েছে লোকেশ রাহুল (Kl Rahul) ও সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই দুই ক্রিকেটারকে কি খেলানো ঠিক হবে? অনেকের মনে উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন।
সূর্যকুমার যাদবকে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে প্রথম একাদশে রাখা হচ্ছিল না। হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) চোটের কারণে পরিকল্পনা বদলে করতে হয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিগত ম্যাচে দলকে ভরসা জুগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের বাকিদের তুলনায় তার ফর্ম আপাতত ছায়ার আড়ালে রয়েছে। লোকেশ রাহুলের ক্ষেত্রেও এটা হয়তো বলা চলে। তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা আরও একটু বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মোমেন্টাম ধরে রাখার জন্য রোহিত উইনিং কম্বিনেশন ব্রেক করেন কি না এখন সেটাই দেখার।