আর মাত্র কটা দিন, শুরু হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধনায় মেতে উঠবে সারা বাংলা। কিন্তু তার আগে শুরু হবে মহালয়া, পিতৃপক্ষের শেষ করে শুরু হবে মাতৃপক্ষের সূচনা। আর মহালয়া মানেই বাঙালির কাছে এক আবেগ।
মহালয়ার দিন শুরু হয় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে ওই আলোকমঞ্জিরে’। বছরের এই একটা দিন বাঙালি ঠিক ভোরবেলা উঠে বসে যায় টিভির সামনে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ দেখতে। তাছাড়াও নানা অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে সবাই। তবে তার আগে বঙ্গ টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিযোগিতা চলতে থাকে কোন চ্যানেলে কাকে ‘মা দুর্গা’ রূপে দেখ যাবে তাই নিয়ে চলতে থাকে জল্পনা।
বাংলার প্রথম সারির অভিনেত্রীদের দেখাবে না দুর্গা রূপে। কিন্তু এবার কালার’স বাংলা দর্শকদের সামনে বিরাট সারপ্রাইজ নিয়ে এসেছে। মহালয়া উপলক্ষে সেদিনের তাদের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’তে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এবার সেই নিয়ে নানা মুনির নানা মত।
এদিন কালার্স বাংলার তরফে প্রথম প্রকাশ্যে আসে দেবী রূপে ঋতুপর্ণার লুক। মা দুর্গার রূপের জন্য তিনি পরে রয়েছেন লাল বেনারসী, পরনে রয়েছে সোনার গয়না এবং মাথায় দেবীর মুকুট আর হাতে আছে ত্রিশূল। ছবির ওপর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে আসছে দেবী দূর্গার চিরন্তন মাহাত্ম্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অজানা কাহিনী, সঙ্গে নিয়ে দেবীর দশমহাবিদ্যা রূপ।’
তবে এবার সেই লুক নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঋতুপর্ণাকে দেবী দুর্গা রূপে দেখে নেটিজেনরা মহা অখুশি। কমেন্ট বক্সে ঋতুপর্ণাকে কটাক্ষ করে বলেন যে, এরকম বুড়ি দুর্গাকে কেন নিল চ্যানেল? অনেকে তার অভিনয়ের প্রশংসা করেও বলেছেন যে দেবী হিসেবে তাকে মানাচ্ছে না। এখন দেখার আগামী ২৫ শে সেপ্টেম্বর মহালয়া কেমন পারফরম্যান্স দেখান তিনি।
View this post on Instagram