টিম ইন্ডিয়ার পুরনো শত্রু, তবে কোহলিকে করতে দেন ১০০! কেটেলবরোর কেচ্ছা জানলে চমকে যাবেন

ওয়ানডে বিশ্বকাপে (Cricket World Cup) দুর্দান্ত শুরু করেছে ভারতীয় দল (India national cricket team)। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে (Bangladesh) হারিয়ে টুর্নামেন্টে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে ভারত। ভারতের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) শতরান। কোহলি অপরাজিত ১০৩ রান করে টিম ইন্ডিয়াকে জয় এনে দেন। তবে কোহলির সেঞ্চুরি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিরাট কোহলি যখন ব্যক্তিগত ৮০ রানে ছিলেন, তখন জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ২০ রান।

   

বিরাটের শতরান ঠেকাতে বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ওয়াইড বল করেন। কোহলি তখন ব্যক্তিগত স্কোর ৯৭ রানে, তখন জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল দুই রান। লেগ স্টাম্পে বোলিং করেন বাংলাদেশের স্পিন বোলার নাসুম আহমেদ। কোহলি বলের লাইন থেকে সরে আসেন এবং বল চলে যায় সোজা উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। তবে আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো  (Richard Kettleborough) এটিকে ওয়াইড বলেননি। পরের বলে কোনও রান না পেলেও এর পরে কোহলি ছক্কা মেরে ভারতকে জয় এনে দেন এবং নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রিচার্ড কেটেলবরোর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

রিচার্ড কেটেলবরো প্রথমে ক্রিকেটার ছিলেন। এরপর তিনি আম্পায়ার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মতো একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেটি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। ২০১১ সালে তিনি বিশ্বকাপের জন্য আইসিসি আম্পায়ার প্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৩৮ বছর এবং সর্বকনিষ্ঠ আম্পায়ার ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি আইসিসি এলিট আম্পায়ার প্যানেলে যোগ দেন এবং আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার হন। ২০২৩ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও বিতর্কে ছিলেন তিনি। শুভমান গিলকে বিতর্কিত ক্যাচের জন্য আউট হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। অথচ বল মাটিতে ঠেকেছিল বলে মনে হয়েছিল। গিলও সোশ্যাল মিডিয়ায় এর বিরোধিতাও করেছিলেন।

kohli bangladesh 2

আম্পায়ার হিসেবে রিচার্ড কেটলবরোর সঙ্গে ভারতীয় দলের অদ্ভুত সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি যখনই আম্পায়ার হয়েছেন, তখনই ভারত পরাজিত হয়েছিল। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত হেরেছিল এবং রিচার্ড দুইবারই আম্পায়ার ছিলেন। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের পরাজয়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি।