২০০০ টাকার নোট (Bank Note) বাতিল হয়ে গিয়েছে দেশে। ইতিমধ্যে সেই টাকার অনেকটাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) কোষাগারে ঢুকতে শুরু করেছে। আর এই কাজে অনেকটাই সাফল্য মিলেছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে দাবি করেছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta das)। তবে এরই মাঝে নতুন একটি কথা সকলের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে একপ্রকার।
দেশে নাকি ফিরতে চলেছে ১০০০ টাকার নোট! সত্যিই কি তাই? নোটবন্দির কথা আশা করি সকলেরই মনে আছে। সেই স্মৃতি দেশবাসী চাইলেও কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। নোট বাতিলের কথা উঠতেই সঙ্গে সঙ্গেই ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের সন্ধ্যার কথা সবার মনে পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন। এর পর সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হয়। ব্যাঙ্ক ও এটিএম-এ দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল। যাইহোক সেসব এখন অতীত।
এখন শোনা যাচ্ছে যে নাকি বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার পর নাকি RBI নতুন করে ১০০০ টাকার নোট ইস্যু করতে চলেছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই বিষয়ে অবশেষে বড় দাবি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যা শুনে হয়তো আপনিও চমকে যেতে পারেন। কী বলছে আরবিআই? আপনিও কি তা জানতে ইচ্ছুক? তাহলে শেষ অবধি টিকে থাকুন এই প্রতিবেদনটিতে।
এর আগে আরবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অর্থনীতিতে যে পরিমাণ নগদ প্রয়োজন, তা ৫০০ টাকার নোট তৈরির জন্য যথেষ্ট। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল লেনদেনও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নগদ অর্থের প্রয়োজনীয়তাও কমে গেছে। আরবিআইয়ের তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ধরনের গুজবে কান দেবেন না। ভবিষ্যতে ১০০০ টাকার নোট চালু করার কোনও পরিকল্পনাও নেই আরবিআই-এর।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ২০০০ টাকার নোটের ৮৭ শতাংশ ব্যাঙ্কগুলিকে ফেরত দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার নোট প্রচলনে রয়েছে। আপনার ও যদি কোনও নোট অবশিষ্ট থাকে তবে আপনি এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক অফিসে জমা দিতে পারেন বা সেখান থেকে এটি পরিবর্তন করতে পারেন।