RBI-র এই পদক্ষেপে বাজ পড়তে চলেছে মানুষের মাথায়, শীঘ্রই ঘোষণা করবেন শক্তিকান্ত দাস

মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) বেড়ে যাওয়ার ফলে রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank Of India) তরফে আবারো বাড়ানো হতে পারে রেপো রেট। রিজার্ভ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটির (Monetary Policy Committee) তরফে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরো আরো দামী হতে চলেছে ঋণ। গত বছর মে মাস থেকে মোট ২.৫০% সুদ বাড়িয়েছে RBI।

গত কয়েকমাসে মুদ্রাস্ফীতি ৬% এর নীচে নেমে গেলেও এবার সেটি বেড়ে ৬.৫২% এ পৌঁছেছে। তারফলে আবারো বাড়তে পারে রেপো রেট। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো একবার সুদের হার বাড়ালে ঋণ আরো দামী হয়ে উঠবে। এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই ০.২৫% রেপো রেট বাড়ানো হয় ব্যাংকের তরফে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি বাগে না আসায় আরো একবার বাড়তে পারে সুদের হার।

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে আবারও মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে RBI এর। বুধবার দিন MPC (Monetary Policy Committee) এর সভা থেকে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা বলা যেতে পারে যে তিনি আবারও জনসাধারণকে ধাক্কা দিতে পারেন। কারণ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেশের অন্দরে লিক্যুইড ক্যাশ ফ্লো কমানোর জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন RBI গভর্নর।

rbi reserve bank

আরও একবার ০.২৫% সুদের হার বাড়ালে মোট রেপো রেট হতে চলেছে ৬.৭৫%। এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর বোঝা রূপে প্রমাণিত হতে পারে। রেপো রেট বৃদ্ধির কারণে হোম লোন, গাড়ি লোন এবং ব্যক্তিগত ঋণ সহ সমস্ত ধরণের ঋণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে এবং আরও বেশি EMI দিতে হবে। উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতির সাথে যুঝতে গত বছর মোট ৫ বার বাড়ানো হয়েছে রেপো রেট।

কীভাবে প্রভাব পড়বে এই সিদ্ধান্তের : RBI এর তরফে রেপো রেট বাড়লে সেটি সরাসরি ব্যাংকের ঋণকে প্রভাবিত করে। রেপো রেট কমলে ঋণ সস্তা হয় এবং বাড়লে পরে ব্যাংকগুলিও তাদের ঋণের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার প্রভাব পড়ে হোম লোন, অটো লোন, পার্সোনাল লোনের মতো সব ধরনের ঋণের ওপর।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button