ভারতে আসছে ব্যাপক সংকট, প্রভাবিত হবেন কোটি কোটি মানুষ! বড় হুঁশিয়ারি RBI গভর্নরের

আমেরিকান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের কারণে ভারতীয় বাজারের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ভারতের (India) কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালালেও আদানি (Gautam Adani) আবারও মার্কেটে কামব্যাক করেছেন। কিন্তু অন্যদিকে আমেরিকাতে একের পর এক ব্যাংক (Bank) ডুবতে বসেছে। সদ্যই সে দেশের দুই ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। তারইমধ্যে বড়সড় বয়ান এল রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank of India) গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের (Shaktikanta Das) তরফে।
সারাবিশ্বেই ব্যাংক গুলোর সমস্যা বাড়তেই থাকছে। বিশেষ করে ঋণ এবং সম্পদের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে অস্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে বিভিন্ন ব্যাংক। আমেরিকার ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের বয়ান সামনে এসেছে। কোচিতে এক সভায় কথা বলার সময় শক্তিকান্ত দাস বলেন, দেশের আর্থিক পরিস্থিতি স্থীতিশিল হলেও মুদ্রাস্ফীতির কারণে সেটি দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
যদিও ভারতীয় অর্থনীতির তারিফ সারাবিশ্বে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার সম্পর্কে অনেকেই সন্দিহান হওয়ায় সেই সম্পর্কেও মুখ খোলেন RBI গভর্নর। তিনি জানান যে, এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ডলার নিয়ে ভারতের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ডলারের মূল্য বাড়ার কারণে উচ্চ বৈদেশিক ঋণ ঝুঁকির দেশগুলোর সামনে চ্যালেঞ্জ বেড়ে গিয়েছে।
ডলার নিয়ে যে ভারতের কোনো সমস্যা নেই বলেই জানান তিনি। সাথে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। গভর্ণর জানান জি-২০-এর উচিত জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থসাহায্য করা। তবে চলমান ব্যাংকিং সংকট সম্বন্ধেও নিজের চিন্তা ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া ভারতীয় ব্যাংকগুলিও তাদের সম্পদ এবং ঋণের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পারলে যে ভারতীয় ব্যাংকিং ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা আসবে সেকথাও জানিয়ে দেন।
এদিন মার্কিন অর্থনৈতিক সংকটের পিছনে ক্রিপ্টো কারেন্সিকেও দায়ী করেন তিনি। RBI গভর্নর ব্যক্তিগত ডিজিটাল মুদ্রার প্রকাশ্য সমালোচকও বটেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংকটের সময় প্রশংসনীয় কাজ করার জন্য কিছুদিন আগেই ‘Governor Of The Year’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। সারাবিশ্বে চলমান সমস্যার মধ্যে যেভাবে ভারতীয় অর্থনীতিকে সামলেছেন তা সত্যিই তারিফযোগ্য।