আরও এক ব্যাঙ্ক বন্ধ! লাইসেন্স বাতিল করল RBI, এভাবে ফেরত পাবেন নিজের টাকা

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) অর্থাৎ আরবিআই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সরকারের উন্নয়ন নীতির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই সংস্থাটি। আরবিআই-এর অধীনে থাকা সমস্ত ব্যাঙ্ককেই সংস্থাটির নির্দেশনামা পালন করে চলতে হয়। এমতাবস্থায় আবারও একটি বড়ো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আরবিআই-এর তরফ থেকে। আরেকটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করল এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে চলে এসেছে বিজ্ঞপ্তিও। যদি আপনারও এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে তাহলে প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এযাবৎ RBI কর্তৃক একাধিক ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আরো একটি ব্যাঙ্ক বন্ধের প্রক্রিয়া কার্যকর হচ্ছে আজ অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই। অর্থাৎ আজকের পর আর কোনও অর্থ জমা নিতে পারবেনা, টাকা দিতে পারবেনা এই ব্যাঙ্ক সংস্থা।

সূত্রের খবর, পুজোর আগেই এই বড়ো ঝটকাটি এসেছে লক্ষ্মী সমবায় ব্যাঙ্ক লিমিটেডের উপর। গত বৃহস্পতিবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ওই সমবায় ব্যাঙ্কের হাতে পর্যাপ্ত মূলধন নেই। আয়ের সম্ভাবনাও নেই। আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই লক্ষ্মী কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি এই সমবায় ব্যাঙ্ক মূলত মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে অবস্থিত।

কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক একই সময়ে এটাও জানিয়েছে যে, ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনে দাখিল করার জন্য লক্ষ্মী সমবায় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের আমানতকারিরা তাদের আমানতের ৯৯ শতাংশ ফেরৎ পেয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৯৩.৬৮ কোটি টাকা দিয়েছে ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ‘ব্যাঙ্কের হাতে পর্যাপ্ত মূলধন নেই। সুযোগও নেই আয়ের।’ সঙ্গে আরো বলা হয়েছে যে, ‘লক্ষ্মী সমবায় ব্যাঙ্ক লিমিটেডের কাজকর্ম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে নির্দেশ আজ (বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর) থেকেই কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ কোনও অর্থ জমা নিতে পারবে না, টাকা দিতে পারবে না।’

rbi 1fa

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা ইতিমধ্যেই টাকা বিনিয়োগ করেছেন তারা কীভাবে টাকা ফেরত পাবে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আপাতত লক্ষ্মী কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে করে আমানতকারীদের পুরো টাকা একসাথে ফিরিয়ে দেওয়া অসম্ভব প্রায়। যদিও পরবর্তী সময়ে আমানতকারীরা মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা করে পাবেন ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের থেকে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button