১ ডিসেম্বরে হতে চলেছে বড়সড় ধামাকা! বড় ঘোষণা RBI-র

ই-রুপি, ভারতের নয়া ডিজিট্যাল কারেন্সি (Digital Currency)। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) নিজেদের ডিজিট্যাল কারেন্সি নিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, আগামী ১ লা ডিসেম্বর থেকে e-₹ (ই-রুপি) এর প্রথম ধাপ শুরু করবে। এই প্রথম খুচরা মার্কেটে আসতে চলেছে সেটি। টোকেন আকারে দেওয়া হবে এই ডিজিট্যাল মুদ্রা।
যদিও ডিজিট্যাল রুপি নিয়ে অনেকের মনেই ধন্ধ রয়েছে। যেমন এই নয়া ডিজিট্যাল মুদ্রা এবং কাগজে বা কয়েনের মাধ্যমে যে মুদ্রার প্রচলন রয়েছে তার মধ্যে কোনো মূল্যের পার্থক্য রয়েছে কিনা। RBI জানিয়ে দিয়েছে যে, এক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকবেনা। ২০২২ সালের শুরুতেই এই মুদ্রার প্রচলন শুরু করে RBI। এবার আগামী মাসের মধ্যেই পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হবে।
এই মুদ্রা বিতরণের দায়িত্ব থাকবে ব্যাঙ্কের ওপর। ব্যাঙ্কের তরফে জারি করা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এই মুদ্রার লেনদেন করা সম্ভব। এটি আপনি মোবাইলেও রাখতে পারেন অথবা ব্যাঙ্কের মধ্যেও রাখতে পারেন। এই ই-রুপি আপনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে পাঠাতে পারেন অর্থ লেনদেনের জন্য এবং সেইসাথে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানেও দিতে পারেন কেনাকাটার প্রয়োজনে।
মার্চেন্ট স্টোরে অবস্থিত QR কোডের মাধ্যমে পে করতে পারেন আপনি। তবে আদান প্রদানের জন্য ব্যাখ্যার সাথে যুক্ত থাকতে হবে আপনাকে। আপাতত চারটি ব্যাঙ্ক এই প্রোজেক্টের সাথে জড়িত। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক। দ্বিতীয় ক্ষেতে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবে।
আপাতত বেঙ্গালুরু এবং ভুবনেশ্বরের মতো শহরগুলিকে পাইলট প্রোজেক্টর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপে আহমেদাবাদ, গ্যাংটক, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, কোচি, লখনউ, পাটনা এবং সিমলা শহরগুলি অন্তর্ভুক্ত হবে। ধীরে ধীরে আরো অনেক শহরে ছড়িয়ে পড়বে এই প্রকল্প। সেইসাথে আরো অনেক ব্যাঙ্ক-কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এক্ষেত্রে।