রেশন কার্ড (Ration Card)… এটি যেমন একটি জরুরী নথি হিসেবে আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে রয়েছে ঠিক তেমনভাবেই দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবনের অন্যতম বড় সংস্থান হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। যারা একদম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তাদের কাছে এই রেশন কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।
অনেকেই আছেন যারা এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য পেয়ে থাকেন। গরিব মানুষের জীবনে এই রেশন কার্ডের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। কারণ এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে সকলের মুখে অন্য জোটে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal) এবার এই রেশন কার্ড নিয়ে বড় রকমের সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলো। আপনারও যদি রেশন কার্ড থেকে থাকে আর আপনি যদি বিনামূল্যে রেশন পেয়ে থাকেন সরকারের তরফে তাহলে এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
বিপদে পড়ার আগে ঝটপট করে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। দেশের হোক বা রাজ্য… দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি বহু মানুষ আছেন যারা জীবন-যাপন করতে গিয়ে এক প্রকার হিমশিম খান। দু’বেলা দুমুঠো অন্ন জোগাড় করতে গিয়ে তাদের কাল ঘাম ছুটে যায়। সেক্ষেত্রে এই রেশন কার্ড তাদের কাছে সেভিয়ার হিসেবে প্রমাণিত হয়। তবে এই রেশন কার্ড নিয়েই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জানা যাচ্ছে এবার আঙুলের ছাপ নয় চোখের মনির সাহায্যে আপনি পেতে পারেন রেশন।
হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মূলত দুর্নীতি রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রাহকের চোখের মনি স্ক্যান করা হবে আইরিশ স্ক্যানার। আগেই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেশন বিতরণের ক্ষেত্রে চালু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি তবে এবার চোখের মনির সাহায্যে রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে। এ বিষয়ে বড় রকমের তথ্য দিয়েছে খাদ্য দফতর।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, আঙুলের ছাপ না মিললেও, সরকারের ডেটাবেসে থাকা চোখের মণির ছবির সঙ্গে নির্দিষ্ট গ্রাহকের চোখের মণির ছবি সবসময় মিলে যায়। এবার তাই চোখের মণি স্ক্যান করে মিলিয়েই রেশন দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেই মর্মে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে যাবতীয় রেশন দোকানে৷