মাত্র ৫ বছরে গড়েছেন কোটি টাকার কোম্পানি! ফ্যান খোদ রতন টাটা, চেনেন এই যুবতীকে?

স্বাতী ভার্গবের কথা তো সকলেই জানেন। দেশের অন্যতম সফল মহিলা উদ্যোক্তা (Entrepreneur)। নিজের দূর্দান্ত কেরিয়ারের পর স্বাতী এবং তার স্বামী রোহন ভার্গব ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্যাশব্যাক পোর্টাল Cashkaro শুরু করেন। জেনে অবাক হবেন যে, গত বছর এই কোম্পানির গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু (GMV) ৪,০০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে।
তাছাড়া বিজনেস টাইকুন খোদ রতন টাটাও (Ratan Tata) এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া পণ্যের মোট মূল্য। গত বছর, ক্যাশকরো’র রেভিনিউ ছিল ২২৫ কোটি টাকা। CashKaro-র ব্যবসা সম্পর্কে বলতে গেলে, এই ই কমার্স সাইটটি মূলত গ্রাহকদের তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্যাশব্যাক দেওয়ার পাশাপাশি গিফট ভাউচারের সুবিধাও উপলব্ধ করে।
স্বাতীর কথা বলতে গেলে, তিনি মূলত আম্বালার বাসিন্দা। দশম শ্রেণীতে তিনি হরিয়াণার টপার হয়েছিলেন। এই সময় গণিতে ১০০ পেয়েছিলেন স্বাতী। এরপর দ্বাদশ এবং একাদশ শ্রেণির পড়াশোনার জন্য পাড়ি দেন সিঙ্গাপুরে। এরপর লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে অর্থনীতি এবং গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
UK থেকে নিয়ে আসেন আইডিয়া : পড়াশোনা শেষে ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গোল্ডম্যান শ্যাক্সের জন্য কাজ করেছিলেন স্বাতী। কিন্তু তারপরেই তার মনে হয় এবার চাকরি ছেড়ে নিজের কিছু করা ভালো। এরপর তার বিয়ে হয় রোহন নামের একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের সাথে। তারপর দুজন মিলেই UK-তে পোরিং পাউন্ডস নামে একটি ক্যাশব্যাক ওয়েবসাইট তৈরি করেন।
Cashkaro তৈরি হয় ২০১৩ সালে : এরপর ২০১৩ সালে ঐ একই নামের কোম্পানি চালু করেন ভারতে। ১৭ জন কর্মী নিয়ে শুরু হয় Cashkaro-র পথচলা। এরপর ২০১৪ সালে নিজের কোম্পানি বাড়ানোর জন্য ফান্ড কালেক্ট করতে থাকে। জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই, তাঁরা তাঁদের নির্ধারিত অর্থের দ্বিগুণ অর্থ পেয়ে যান। আর তার পরের বছর কালারি ক্যাপিটাল থেকে তারা ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলেন।
বিনিয়োগ করেছেন টাটাও : এরপর ২০১৬ সালে রতন টাটাও এই ব্যবসায় আগ্রহ দেখাতে থাকেন। তিনিও বিনিয়োগ করেন এতে। টাটার কথায়, “যে দেশে সবাই টাকা বাঁচাতে পছন্দ করে, সেখানে আপনাড়া বিনামূল্যে টাকা দিচ্ছেন। এটা সঠিক না।”