‘আমি রতন টাটা বলছি, দেখা করতে পারি?” যেভাবে এক ফোন কলেই বদলে যায় দম্পতির জীবন

বর্তমানের নটা পাঁচটার চাকরি থেকে বেরিয়ে এসে সবার লক্ষ্য এখন ব্যবসা করা। তবে একটা সময় এমন এসেছিল যে, মানুষ চাকরি ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতো না, কিন্তু আজ সেই দিন গিয়েছে। আগে সবাই চাইত ভালো করে পড়াশোনা করে ভালো বেতনের চাকরি পেতে, কিন্তু এখন সেই সমস্তই বদলে গিয়েছে। আসলে করোনা ভাইরাস এবং তার আগে পরের মন্দার বাজারে চাকরি পাওয়াটা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে এবং এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিজের ছোট ব্যবসা শুরু করতে নতুন উদ্যম পায়।
আজ আমরা এমন এক দম্পতির কথা বলতে চলেছি যাদের ব্যবসাকে সাহায্য করে চলেছেন খোদ রতন টাটা (Ratan Tata)। আজ আপনারা জানবেন কীভাবে একটি মাত্র ফোন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়। এই দম্পতির হলেন মহারাষ্ট্রের অদিতি ভোঁসলে ওয়ালুঞ্জ এবং চেতন ওয়ালুঞ্জ। যারা তাদের ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী শক্তির জোরে পাশে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট রতন টাটার মত ব্যক্তিকে।
বিয়ের পরই দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা ব্যবসা করবেন। এইরকম চিন্তাভাবনা নিয়ে তারা স্থাপন করেন, ‘রেপোজ এনার্জি’ এর। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় গাড়ি চলতে চলতেই তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়, এবং কাছেপিঠে কোথাওই পেট্রোল পাম্পের দেখা মেলেনা। এবারএই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই স্বামী-স্ত্রী মিলে ডিজেলের হোম ডেলিভারি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
তাদের এই ব্যবসায়িক ধারণাটি রতন টাটার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি এই স্বামী-স্ত্রী জুটিকে তার সাথে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। রতন টাটার এই পদক্ষেপ তাদের কাছে ছিল একদম স্বপ্নের মতো। রতন টাটা তাদের ফোন করে আলোচনার জন্য তার বাড়িতে ডাকেন। আর এরপর বাকিটা ইতিহাস।
রতন টাটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাদের সাহায্য করার। তারপর থেকে রেপোজ এনার্জি টাটা মোটরস এবং অন্যান্য বড় বড় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলির সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। রতন টাটার নির্দেশনায় আজ এই কোম্পানি এতদূর স্বপ্নের উড়ান দিতে পেরেছে।
ইতিমধ্যে এই কোম্পানি তার ‘রেপোজ মোবাইল পেট্রোল পাম্প’ এর জন্য তিনটি পেটেন্ট দাখিল করেছে। সাম্প্রতিক বেশ সাফল্যের পর, কোম্পানি তাদের ৩৫০০ টি এইরকম রেপোজ মোবাইল পেট্রোল পাম্প বিক্রি করে এবং তারই সাথে বিনিয়োগ স্বরূপ ৩ কোটি টাকা পায় তাদের তহবিলে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই কোম্পানি ভারতীয় জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরো সহজ করে তুলবে।