পাত্তা পাবেনা BMW, টেসলা! বহুমূল্য এই ‘Nano’ বানান রতন টাটা! দাম শুনে ঢোক গিলবেন আম্বানিও

ফের একবার শিরোনামে রতন টাটা (Ratan Tata)। বা বলা ভালো তাঁর কোম্পানি নতুন করে সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। এক সময়ে রতন টাটা ন্যানো (Tata Nano) গাড়ি (Car) এনে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। গাড়িটি যথেষ্ট ছোট, অথচ দেখতে সুন্দর। শুধুমাত্র তাই নয়, এই গাড়ির দাম ছিল সকলের সাধ্যের মধ্যেই। টাটার এই গাড়ি আনার পেছনে একটাই লক্ষ্য ছিল, যাতে মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষও নিজের গাড়িতে ওঠার অনুভূতি যাতে নিতে পারে।

   

বিভিন্ন শহরের রাস্তাঘাটে এই গাড়ির দেখা মিলত। মিলত বললে ভুল হবে, এখনও এই গাড়ির রাস্তায় নামতে দেখা যায়। অনেক গাড়ি প্রেমী এমন রয়েছেন যারা চান টাটা যেন এরকম আরও ন্যানো গাড়ি প্রস্তুত করুক। যদিও আজকের এই প্রতিবেদনটি টাটার একটু পুরনো গাড়িকে নিয়ে, যেটি একসময়ে হট কেকের মতো বিক্রি হয়েছিল এবং সকলের নজর কেড়েছিল।

এই গাড়িটি বাজারে এসেছিল আজ থেকে ঠিক ১২ বছর আগে। এই ন্যানো গাড়িটি সেইসময়ে টাটা কোম্পানির সবথেকে দামি গাড়ি হয়ে উঠেছিল। হ্যাঁ দামি ন্যানো গাড়ি। এই গাড়িটি ছিল সোনা-রূপোয় মোড়ানো। একটি ন্যানো গাড়ির দাম ২ লাখের নিচেই থাকত, কিন্তু ২০১১ সালে এই ন্যানো গাড়িটির দাম ছুঁয়েছিল ২২ কোটি টাকায়! এই ন্যানো তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ৮০ কেজি সোনা ও ১৫ কেজি রূপা। ৫ জন ডিজাইনার মিলে ৮ মাসে এই সোনার ন্যানো তৈরি করেছিলেন।

tata nano gold

টাটা ন্যানো গাড়িটি বিক্রয়ের জন্য ছিল না এবং এটি কেবল টাটা গ্রুপের (Tata Group) একটি অংশ গোল্ডপ্লাস জুয়েলারি দ্বারা প্রচারমূলক উদ্যোগ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। ২২ কোটি টাকার গোল্ডপ্লাস টাটা ন্যানো উন্মোচন করেছিলেন রতন টাটা নিজেই। নাম অনুসারে, গোল্ডপ্লাস টাটা ন্যানো সোনা এবং রূপা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।