একটি ভালো স্কলারশিপ (Scholarship) বা ফেলোশিপ প্রোগ্রাম মেধাবী পড়ুয়াদের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটি ভালো স্কলারশিপ একজন শিক্ষার্থীর জীবনে বড় সাহায্য হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবার থেকে আসা পড়ুয়াদের জন্য। ভারতের অনেক শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি বা স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এটি কেবল পড়াশোনায় সহায়তা করে না বরং আরও ভাল ক্যারিয়ারের জন্য ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরিতে সহায়তা করে। এবার তেমনই পড়ুয়াদের জীবন আমূল বদলে দিতে বড় পদক্ষেপ নিল টাটা (Ratan Tata)। যে কারণে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা, বিশেষ করে যারা গরীব পরিবারে বাস করে জীবনে বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য রতন টাটার টাটা ক্যাপিটাল লিমিটেডের তরফ থেকে এবার টাটা ক্যাপিটাল (Tata Capital) পাঙ্খ স্কলারশিপ নিয়ে আসা হল। টাটার এই বিশেষ স্কলারশিপটি পড়ুয়াদের জীবন একপ্রকার আমূল বদলে দিতে পারে। টাটা ক্যাপিটাল পঙ্খ স্কলারশিপের নামে শুরু হওয়া এই স্কলারশিপ সেই সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য, যারা পড়াশোনার খরচ বহন করতে অক্ষম। টাটা ক্যাপিটাল এই স্কলারশিপ প্রদান করছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং তার পরে ডিপ্লোমা এবং স্নাতকের জন্যও এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
টাটা ক্যাপিটাল পরিচালিত এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি খুবই বিশেষ। যার মাধ্যমে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা শেষ করার জন্য টাকা পায়। এই স্কলারশিপ স্কিমের সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে পারে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়ুয়াদের ১২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হয়। টাটা স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। যাতে সে তার শিক্ষা পুরোপুরি অর্জন করতে পারে।
আপনার সন্তানও যদি মাধ্যমিকে অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকে তাহলে সে এই স্কলারশিপটি পায়ের যেতে পারে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে আবেদন করবেন? তাহলে জানিয়ে রাখি, প্রথমে Buddy4Study.Com ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর লগইন করে Scholarship অপশনে ক্লিক করে, ‘Tata Capital Pankh Scholarship Programme’ এখানে ক্লিক করতে হবে। তারপর, অনলাইন ফর্মটি ফিলাপ এবং নীচের লিস্টে দেওয়া ডকুমেন্টগুলি আপলোড করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।
এছাড়া যে যে জিনিস লাগবে সেগুলি হল পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আধার কার্ড, দশম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার মার্কশীট, স্কুল কিংবা কলেজে ভর্তির প্রমাণপত্র, স্কুল কিংবা ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির সময় প্রাপ্ত ফি-এর রশিদ, ব্যাঙ্কের ডিটেলস, বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেটের কপি, বিকলাঙ্গ/কাস্ট সার্টিফিকেট।