একদম দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। জায়গায় জায়গায় চলছে প্রস্তুতি। সব জায়গাতেই কমবেশি পুজো প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে গিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও প্যান্ডেল বাঁধার কাজও একপ্রকার শেষের দিকে। যদিও উৎসবের আবহে বাঙালির মন খারাপ। আর বাঙালির এই মন খারাপ হওয়ার পিছনে রয়েছে নাছোড়বান্দা বৃষ্টি।
একপ্রকার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বর্ষা (Monsoon)। এমনিতেই চলতি বছরে দেশে ও বাংলায় বেশ অনেকটাই দেরীতে বর্ষার আগমন ঘটেছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বর্ষা যাবেও দেরীতে। এদিকে দুর্গাপুজো আসতে হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তবে বর্ষা বিদায় নেওয়ার আগে শেষ কামড় বসিয়েই চলেছে। সোমবার অর্থাৎ গতকাল থেকে বাংলায় কিছুটা হলেও বৃষ্টির দাপট কমেছে বইকি। কিন্তু আপনি যদি ভেবে থাকেন বর্ষা পাত্তারি গুটিয়ে পালিয়ে গেল তাহলে সে গুড়ে বালি।
কিছুটা বিরাম নিয়ে আগামী শুক্রবার থেকেই বাংলার আকাশে ফের দুর্যোগের কালো মেঘ ছেয়ে যাবে। তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি আসবে বলে আশঙ্কা জারি করে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে অক্টোবর মাসের প্রথম দিকেই এক ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
সাধারণত ১০-১২ অক্টোবর বঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার কথা। তবে মনে করা হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়া কিছুটা দেরি হবে। বর্ষা পাকাপাকিভাবে বিদায় নিতে ২০ অক্টোবর হয়ে যেতে পারে। আর এই ২০ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো। তবে ২০ অক্টোবরের পরেও যে বৃষ্টি বাংলার বুক থেকে একেবারে সরে যাবে, সেটাও কিন্তু এখনই জোর দিয়ে বলতে পারছে না হাওয়া অফিস।

বৃষ্টি প্রসঙ্গে আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ‘রাজস্থান থেকে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সাধারণত অক্টোবরের ৮ থেকে ১০ তারিখ নাগাদ বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয় বাংলা থেকে। সেটা ৪ থেকে ৫ দিন এদিক-ওদিক হতেই পারে। তবে এখনই এই নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৯ তারিখ। যা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।‘