শ্বশুরকে হলদে পেঁচা, পুষ্পিতা-অঙ্কুশের কাণ্ডে হেসে খুন রচনা! ফাটিয়ে দিল দিদি নম্বর ওয়ান

বাংলার নম্বর ওয়ান নন ফিকশন শো এর খেতাব বহুদিন ধরেই রয়েছে রচনা ব্যানার্জির (Rachna Banerjee) ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এর (Didi Number One) কাছে। শো এর জনপ্রিয়তা যেমন অত্যধিক বেশি তেমনই বিগত আটটি সিজন ধরে একটানা এই শোকে ভালবাসা দিয়েছেন দর্শকরা। TRP তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকাটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে শো এর। আর এত বছর ধরে শোটিকে একরকম একা হাতেই সামলে আসছেন রচনা বন্দোপাধ্যায় ।

যদিও অনেকদিন হলো অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। তবে দিদি নাম্বার ওয়ান ছেড়ে যেতে পারেননি। বিকেল ৫টা মানেই জি বাংলার পর্দায় দিদি নাম্বার ওয়ান। আর সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতিযোগী হয়ে আসেন বিভিন্ন তারকারা। মঞ্চ থেকেই তারকারা নিজেদের জীবনের নানান অজানা কাহিনী জানাতে থাকেন। হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠে পুরো শো।

কিন্তু সবচেয়ে হাসির পর্ব জানেন কোনটা? আসলে এই গল্প বেশ পুরনো। শোতে উপস্থিত হন অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, ময়না মুখোপাধ্যায়, বুলবুলি পাঁজা। হেডফোন রাউন্ডে অর্থাৎ কানে গান বাজার সময়ই একজন মুখে বলবেন আর সেটা শুনে অথবা আন্দাজ জোরে উত্তর দিতে হবে প্রতিযোগীকে। আর এই খেলা বারবারই হাসি ঠাট্টর মুখ্য আকর্ষণ।

সেবার হেডফোন রাউন্ডে এসেছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। পুষ্পিতার সময় আসতেই হেডফোন কানে লাগিয়ে তিনি বলে ওঠেন, আগের রাউন্ডে কিছুই পারেননি। তাই এই রাউন্ডে সবগুলো তিনিই করবেন। আর খেলা শুরু হতেই বোঝাগেল কেমন জিতবেন তিনি। প্রথমে শব্দ ছিল চুরমুর আর হেডফোন লাগিয়ে পুষ্পিতা কি বুঝলেন জানা যায়নি, কিন্তু তার উত্তর জুতোয় ফোসকা! বুঝুন কান্ড।

অঙ্কুশ তো প্রথম থেকেই বেশ হতভম্ব। তবে সেই শুরু। এরপর অঙ্কুশের বলা কথাগুলো এমন সব অর্থ বের করেন পুষ্পিতা যে, পেটে খিল লেগে যাবে আপনার। লক্ষ্মীপেঁচাকে বাঁচা, মাচা, কলকে বাঁচা অনেক কিছুই বলেন পুষ্পিতা। এদিকে অঙ্কুশ লক্ষ্মীপেঁচা বলে চিৎকার করছেন, কিন্তু পুষ্পিতা যেন রয়েছেন অন্য জগতে।

ঘণ্টা বেজে গেলেও দুজনে তখনো লেগে রয়েছেন। আর তাই দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন নুসরত আর রচনা। দমফাটা হাসির এই এপিসোডটির ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। অনেকের মতে এটাই নাকি দিদি নাম্বার ওয়ানের সবচেয়ে হাসির এপিসোড।

 

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button