মাংস খেতে বাপের বাড়ি চেয়েছিলেন যেতে, বাধা দেওয়ায় টেনে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়লেন বধূ

রাগ বড়ই খারাপ জিনিস। রাগ চাপলে মানুষের মস্তিষ্ক তখন আর নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকেনা, উপরন্তু রাগ বারংবার বাড়তেই থাকে। মানুষ একবার রেগে গেলে তার বোধবুদ্ধি লোপ পেয়ে কেও গালিগালজ করেন তো কেও জিনিসপত্র ছুঁড়ে ভেঙে দেন। এমনকী রাগের মাথায় খুন পর্যন্ত করার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু তাই বলে কারো অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নিতে শুনেছেন?
ঘটনাটা পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার নারকেলদাহা গ্রামের। সেখানে এক গৃহবধূ এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন রাগের মাথায়। ওই গৃহবধূর নাম শিখা হাইত। রাগের মাথায় তার শ্বশুরের অন্ডোকোষ ছিঁড়ে ফেলেন ওই গৃহবধূ! আর সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই ঘটনা।
আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয় মাংস খাওয়া নিয়ে। স্বামী বিশ্বজিৎকে ফোনে জানান তিনি বাপের বাড়ি যাবেন মাংস খেতে। কিন্তু তার স্বামী সেই শুনে জানান যে, বাপের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নাই, তিনি মাংস কিনে নিয়ে আসছেন। আর স্বামীর এই কথায় রুদ্রমূর্তি ধরন করেন গৃহবধূ।
আর তারপরই রাগের মাথায় যাচ্ছেতাই কাণ্ড শুরু করেন তিনি। বাপের বাড়ি যেতে না দেওয়ার কারণে একাধিক কু’কথা বেরোতে থাকে তার মুখ দিয়ে। প্রতিবেশীরা জানান ঠিক এইসময়ই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শিখাকে বোঝাতে আসেন তার শ্বশুরমশাই।
কিন্তু তিনি তখন শুনবেন কেন। শিখা তখন রুদ্রমূর্তিতে এগিয়ে যান শ্বশুরের দিকে। রাগের মাথায় হেঁচকা টানে ছিঁড়ে ফেলেন শ্বশুরের অণ্ডকোষ! আর বৃদ্ধ হতভাগ্য শ্বশুর তখন কাতরাতে শুরু করেন। তারপরই দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা বৃদ্ধ শ্বশুরকে।
আর তারপরই শিখার ওপর চলতে থাকে চোটপাট। প্রতিবেশীরা দল বেঁধে মারতেও শুরু করেন শিখাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে শিখা পালিয়ে যান তার বাপের বাড়িতে। শ্বশুরবাড়ির লোক থানায় অভিযোগ করার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত সেই গৃহবধূ রয়েছেন শ্রীঘরে। শিখার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশিরা অবশ্য জানাচ্ছেন যে, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”