ছুটির স্বাদ উপভোগ করতে দিঘা (Digha) যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর। দিঘায় পা রাখার আগে এই প্রতিবেদনটি পড়ে নিন, নইলে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। বর্ষার মরসুমে (Wet Season) একটু সমুদ্রের আনন্দ নিতে এখন কমবেশি পর্যটক দিঘামুখী হচ্ছেন পর্যটকরা। যদিও প্রশাসনের এক নির্দেশের কারণে দিঘায় বড় রদবদল ঘটতে চলেছে। এবার কিনা দিঘায় সাম্প্রতিক গজিয়ে ওঠা একের পর এক বেআইনি হোটেল গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
হাইকোর্টের নির্দেশে বেআইনি হোটেলগুলিতে চলতে শুরু করেছে বুলডোজার। এদিকে পুলিশের তদারকিতে কাজ শুরু হলে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। একপ্রকার পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় স্থানীয়দের। স্থানীয়দের বক্তব্য, এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া যাবে না হোটেলগুলি।
জানা যায়, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার সকালে বুলডোজার দিয়ে হোটেল ভাঙার কাজ শুরু হয়। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ঘটনাস্থলে হাজির হন দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক, উপকূলীয় থানার আধিকারিকরা। যদিও কিন্তু এই হোটেল ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।
এই উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এহেন পরিস্থিতি দেখে আসরে নামে পুলিশ। উত্তেজিত জনতার ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ অবধি করে। এরপর পরিস্থিতি আরও হাতের বাইরে চলে যায়।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র এই চারটি হোটেলই বেআইনি নয়। বেআইনি হোটেল ভাঙতে হলে মন্দারমণি (Mandarmani) গিয়ে হোটেল ভাঙা হোক। সেখানে পর পর অনেক বেআইনি হোটেলই গজিয়ে উঠেছে। সব ক’টিকে ভাঙা হোক। এদিকে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের দিকেও আঙুল তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যখন হোটেলগুলি বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছিল, তখন এই আদালত, প্রশাসন কোথায় ছিল? এমত অবস্থায় দিঘা ঘুরতে গিয়ে বহু পর্যটক সমস্যায় পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।