বড়োলোক হতে কে না চায়? কিন্তু সবার জন্য তো আর এই রাস্তা সহজ হয়না। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে রাস্তা এতোটাই কঠিন হয় যে বেছে নেয় বিভিন্ন ধরণের ভাগ্য পরীক্ষার খেলা। এরকমই একটা বিষয় হলো লটারি (Lottery)। এটি এমনই একটি জিনিস হল যা যে কোনো সময় যে করাও ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। ফকির থেকে রাজা হয়ে যেতে পারে যে কেউ।
পুরস্কার জেতার আশায় নিত্য লক্ষ লক্ষ মানুষ লটারি কেনেন। কিন্তু সবার তো আর ভাগ্য সহায় হয়না। কিন্তু পাঞ্জাবের ৮৮ বছর বয়সী বৃদ্ধের লটারি জেতার খবর দেশময় ছড়িয়ে পড়েছে। আর পড়বে নাই বা কেন, এক দুই নয় একেবারে ৫ কোটি টাকার প্রথম পুরষ্কার জিতেছেন তিনি! আর তার পরেই পরিবারে খুশির হাওয়া বয়ে গিয়েছে।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে সেই বৃদ্ধের নাম মহন্ত দ্বারকা দাস। পাঞ্জাবের মোহালিতে ডেরাবাসি গ্রামের ত্রিবেদী ক্যাম্পের বাসিন্দা তিনি। নিকটেই একটি মন্দিরে মহন্ত হিসাবে কাজ করেন। আর তিনিই এবার একসাথে ৫ কোটি টাকার লটারি জিতে নিয়ে! পরিবার তো বটেই, পাড়া প্রতিবেশীরাও খুব খুশি এই খবরে। বৃদ্ধ মহন্ত দ্বারকা দাসও কখনো ভাবতে পারেননি যে, এইভাবে তার ভাগ্য খুলে যাবে।
লটারি জেতা সম্পর্কে মহন্ত দ্বারকা দাস বলেন, বাড়ির অবস্থা বেশ খারাপ। আর তাই মাঝেমধ্যে শখের বশে লটারির টিকিট কিনতেন তিনি। ভাগ্য খোলার আসায় জিরাকপুরের লাকি লটারি স্টোর থেকে এই ‘বাম্পার লোহরি’র লটারি টিকিট কিনেছিলেন তিনি। কেউই ভাবতে পারেননি যে, তার ভাগ্য খুলবে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে আজ তিনি কোটিপতি।
দ্বারকা দাস বিশ্বাসই করতে পারেননি যে, তিনি ৫ কোটি টাকার প্রথম পুরষ্কার জিতেছেন। ঘটনাটি নিশ্চিৎ করেন পাঞ্জাব লটারির ডিরেক্টর করম সিং। তিনি বলেন, ট্যাক্স কেটে নিয়ে বাকি পুরো টাকা তার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সেইদিক থেকে আশ্বাস পেয়েছেন মহন্ত দ্বারকা দাস।
কিন্তু কি করবেন টাকা দিয়ে : লটারির টাকা জিতে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দ্বারকা দাস। তিনি জানান, সারা জীবন সংগ্রাম করে সততার সঙ্গে সংসার করেছেন। এই জয়ের পরিমাণ তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। যার মধ্যে দুটি অংশ দেবেন ছেলে মুকেশ ও নারিন্দরকে। আজীবন সেবা করেছেন যে মন্দিরে সেখানে দান করবেন তৃতীয় অংশ।