বিচ্ছেদের ২৭ বছর পর দেবশ্রীর কাছে ফেরার ইচ্ছা প্রসেনজিতের! প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন বুম্বাদা

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) রিল লাইফ আর রিয়েল লাইফের মধ্যে ফারাক খুব বেশি নেই। সেই ছোটবেলাতে দেবশ্রীর (Debashree Roy) সাথে বন্ধুত্ব তারপর মনের আদানপ্রদান আর শেষে মনের দেওয়া নেওয়া। এরপর বিয়ে, একইসাথে চুটিয়ে সংসার করতে শুরু করেই ছিলেন ঠিক তখনই শেষ হয়ে গেল দেবশ্রী রায় আর প্রসেনজিৎ এর সম্পর্ক।
একটা সিনেমায় যে সমস্ত উপাদানের প্রয়োজন হয়, সেসবই আছে। প্রেম আছে, বিচ্ছেদ আছে, বন্ধুত্ব আছে। শুধু হ্যাপিলি এভারআফটার এর ব্যাপারেই গন্ডগোল হয়ে গেছে। টলিউডের হিট কাপল প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী একে অপরের মুখামুখি হননা পারতপক্ষে। ছোটবেলার বন্ধুত্ব কখন যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়েছিল তা বোধ হয় এই দুজনাও বলতে পারবেন না। ১১৯২ সালে শপথ নিয়েছিলেন একইসাথে থাকার।
কিন্তু বিয়ের ঠিক তিন বছর পর নিজের সেই সমস্ত শপথবাক্য ভুলে যান প্রসেনজিৎ। মনোমালিন্যের ফলে আর একসাথে থাকা হলনা দেবশ্রীর সাথে। শেষমেষ ডিভোর্স আর সেই বিচ্ছেদ নিয়ে বাঙালি আজও মুখরোচক চর্চা করতে পছন্দ করে। অনেকে দাবি করেন, প্রসেনজিতের কারণেই সরে আসতে বাধ্য হন দেবশ্রী।
এদিকে টলিপাড়ায় খোঁজ নিলেই জানা যায় যে, ‘উনিশে এপ্রিল’ ছবিতে সেরা অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই দেবশ্রীর প্রতি প্রচ্ছন্ন হিংসা জন্মেছিল প্রসেনজিতের মধ্যে। অবশ্য দেবশ্রীকে নিয়েও কম রটনা নেই, ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিলের সাথে পরকীয়ার জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তার দিকেও। সত্যি মিথ্যে জানা না গেলেও বিচ্ছেদের পর দুজনেই নিজেদের জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
প্রসেনজিৎ অবশ্য আবারো সংসারী হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করে। কিন্তু দেবশ্রী রয়ে গেলেন অবিবাহিতা। দেবশ্রীর প্রসঙ্গ উঠলেই এতদিন এড়িয়ে যেতেন প্রসেনজিৎ। কয়েকদিন আগে অবশ্য সিনেমার প্রচারের সময় বলে ফেলেন যে, ছোটবেলার প্রেমের প্রথম বিয়ে ভেঙে দেড় বছর নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি।
ছবির প্রচারের মধ্যেই প্রসেনজিৎকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, অতীতের কোন সম্পর্কটা তিনি ঠিক করতে চান? এতে তিনি যে উত্তর দেন তাতে দেবশ্রীর নাম না বললেও জানান যে, “আমার জীবনে তো অনেক সম্পর্কই ভেঙেছে, আবার গড়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমার প্রথম স্ত্রী যাঁর সঙ্গে অনেকদিন কথা নেই, দেখাও নেই, দেখা হয়নি বলেই কথা হয়নি। আমরা ছোটবেলার বন্ধু। তো নিশ্চয়ই আমি চাইব যে একবার দেখা করে, আমরা তো একদম ছোটবেলার বন্ধু, তো ওই বন্ধুত্বের জায়গাটায় যেন চলে আসি।” প্রসেনজিৎ-র এই কথা থেকে জনতা অবশ্য বুঝে নিয়েছে যা বোঝার। তিনি যে দেবশ্রীর কথা বলছেন সেই নিয়ে কারো মধ্যেই সন্দেহ নেই।