নিজেকে ‘ইন্ডাস্ট্রি” বলায় বিরক্ত হয়ে দেবকে নিয়ে বড় বয়ান প্রসেনজিতের!

বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় নায়ক যদি কেও থাকেন তাহলে তিনি উত্তম কুমার (Uttam Kumar), মহানায়ক তিনি। কিন্তু তারপর? তারপর কাকে বলা যায়? সেক্ষেত্রে একটাই নাম জ্বলজ্বল করে, তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। উত্তম কুমারের পরবর্তী জেনারেশনে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে সফরটা মোটেই সহজ ছিলনা।
প্রথম দিকের ছবিগুলোতে তার অদ্ভূত হাঁটা আর নাচের ভঙ্গিমার জন্য বা তার দাঁতে দাঁত চিপে বলা ‘মা আ আমি চুরি করিনি’ এর কারণে তার আইকনিক সমস্ত ডায়লগ নিয়ে আজও খিল্লি করে জনগণ। তার সেইসময়ের ডায়লগ নিয়ে যতই খিল্লি করা হোক না কেন আজ তিনিই টলিউডের সর্বেসর্বা। তাঁর সামনে হাসাহাসি করার সাহস আর কারো নেই।
কিন্তু ছবির প্রমোশন করার সময় সেই প্রসেনজিৎ নিজেই নিজেকে হাসির পাত্র বানিয়ে ফেললেন! তার পেশাগত জীবন হোক বা ব্যক্তিগত জীবন পুরোটা দর্শকদের সামনে এমনিকরে তুলে ধরলেন যে, দর্শকরাও না হেসে আর থাকতে পারলেন না। যদিও নিজেকে নিয়ে যে এত মজা বুম্বাদা করতে পারেন সেই নিয়ে খুব বেশি ধারনা থাকেনি তাদের।
একসময় বলিউড এর শ্রীদেবীর নাচ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নেচে খুবই ট্রোলড হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে দেব তাকে নাচাচ্ছে! কিন্তু আজও বাঙালি দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে তার সেই ডায়লগ। সেই সম্পর্কে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ। তিনি জানান যে, আঠা খেয়ে নাকি তাঁর দাঁত আটকে গিয়েছিল। ওই অবস্থাতেই সেই আইকনিক ডায়লগ বলেছিলেন তিনি।
একই সময়ে নিজের একাধিক বিয়ে নিয়ে নিজেকেই ট্রোল করেছেন প্রসেনজিৎ। সেই সাথে তাকে বলা হয়েছিল রিয়েলিটি শোতে সেরা জুটি বাছতে। তিনি যে উত্তর দিয়েছিলেন তাতে সবাই অট্টহাস্যে ফেটে পড়ে। প্রসেনজিৎ বলেন, যার নিজেরই তিনটে বিয়ে সে কিনা আবার সেরা জুটি বাছবে?
সেইসাথে এবার প্রসেনজিৎকে প্রশ্ন করা হয় তার ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তকমা নিয়েও, আর তাতেই ফেটে পড়েন তিনি। তার বক্তব্য, “আমি ইন্ডাস্ট্রি হলে দেব কি শ্রমিক?” একই সময়ে তিনি আবার খিল্লি করেন নিজের দুই নায়িকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে। মজা করে বলেন, রচনার নাম নিলে ঋতু নাকি বেজায় রেগে যাবেন!